মাজহারুল ইসলাম, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: বিভাগ পরিবর্তন না হওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার কলেজ গুলোতে দুই শতাধিক এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সকল কলেজ গুলোতে প্রায় ১৫ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
উপজেলার গোপালপুর ডিগ্রী কলেজের ৪০ জন, কেএন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৩৮ জন,মোহরকয়া ডিগ্রী কলেজের ১১জন, গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের ১৬ জন সহ উপজেলার অন্যান্য কলেজ গুলোতে মোট প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা এমন অবস্থার স্বীকার।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ও স্থানীয় বিভিন্ন কলেজ গুলো থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ফরম পুরনের কাজ শুরু হয় এবং জরিমানা ছাড়া ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। জরিমানা সহ ফরম পুরনের শেষ দিন ছিল ২৪ ডিসেম্বর। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হয়ে উক্ত শিক্ষার্থীরা বোর্ডে বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করে এবং পরিবর্তনকৃত বিষয়ে পড়াশুনো করে আসছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ফরম পুরন করতে এসে দেখে তাদের আবেদন শর্তেও বিভাগ পরিবর্তন হয়নি। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চতায় পড়েছে। এমত অবস্থায় ফরম পুরন করতে নাপারায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।
লালপুর উপজেলার মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জানান দুই বছর ধরে মানবিক গ্রুপে পড়াশোনা করে আসছি, কিন্তু ফরম পুরন করতে এসে দেখি মানবিক বিভাগে আমার নাম নেই, নাম আছে বিজ্ঞান বিভাগে,এমত অবস্থায় আমার বিজ্ঞানে পরিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান উদ্বেগের সহিত জানান, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আমি বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করি এবং সে অনুযায়ী মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করেছি।,কিন্তু আমার নাম মানবিক বিভাগে নেই।
এব্যাপারে মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইসমত হোসেন বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করে। এখন ফরম পূরণ করতে গিয়ে দেখি এব্যাপারে তারা কোন কাজ করেননি। এঘটনায় এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এ বিষয়ে গোপালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ্য আকরাম হোসেন জানান, এমন ঘটনা শুধু ইশরাত ও মেহেদির নয়, তার কলেজের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর একই অবস্থা, তবে শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারন নেই বেেল তিনি আশস্থ করেছেন্ । বোর্ডের সংশ্লিষ্টদর সাথে যোগাযোগ চলছে, খুব শিঘ্রি ওই সকল শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সঠিক শিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মকবুল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেএন