নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভ্যাপসা গরম ও ঘন ঘন বিদ্যুতের ঘন যাতায়াতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার বাসিন্দারা। গত কয়েকদিন দিন ধরেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় দিন রাতে ১০-১৫ বার করে বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হলে প্রায় ঘণ্টা খানেকের আগে দেওয়া হয় না। পুরো রাজশাহী মহানগর জুড়ে বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন বিদ্যুতের লোডশেডিং নেই। মাত্র একদিন সমস্যা হয়েছিল কিছু এলাকায় ট্রান্সফরমারের ক্যাবল পুড়ে যাওয়ার কারণে। তেমন কোন লোডশেডিং নেই। কিন্তু গত ৪/৫ দিন ধরে রাজশাহীতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে সর্বোচ্চ মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। কিন্ত এমন লোডশেডিংয়ের কোন যথাযথ কারণ ব্যাখা করতে পারেন নি নেসকোর কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে দু’একবার সামান্য বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হলেও বিদ্যুতের যাতায়াত কমেনি। এ কারণে সমস্যার মধ্যে পড়ছেন গ্রাহকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত ৪/৫ দিন ধরে ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গভীর রাতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং হওয়ায় আরো সমস্যার মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা। নগরীর প্রত্যেকটি এলাকাতেই বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং চলছে। নগরীর টিকাপড়া এলাকার নজরুল নামের এক গ্রাহক বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭/৮ বার বিদ্যুত টানা হয়েছে। এটা কেমন কথা ? কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ এমন করছে।হড়গ্রাম এলাকার ফাহিমুল নামের আরেক গ্রাহক বলেন, গত ৫/৬ দিন ধরে যেভাবে বিদ্যুৎ টানা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে। রাজশাহীতে কোন বিদ্যুৎ নেই। এখন মনে হয় বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসবে। আগের মত মাঝে মধ্যে যাবে না। আর কর্তৃপক্ষের লোডশেডিং না থাকার বক্তব্যকে কল্পনাপ্রসূত বলে আখ্যায়িত করছেন। এভাবে নগরীর বিভিন্ন এলাকার
মানুষের ব্যাপক অভিযোগ বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে। নগরীর মধ্য এলাকায়ও লোডশেডিং হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। শামিউল নামের এক রিক্সাচালক বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর গরম লাগছে। গরমের কারণে রাস্তায় থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুর হলেতো বের হওয়া যাচ্ছে না। তবে রাস্তায় বের না হয়ে উপায়ও নেই। তাই বাধ্য হয়েই বের হতে হচ্ছে। সেই সাথে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। বিশেষ করে গত দুদিন থেকে আরো বেশি ভ্যাপসা গরম পড়ছে। গরমে লোকজন
অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে। রাজশাহী নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানীর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী দিলরুবা বলেন, বিদ্যুতের তেমন লোডশেডিং নেই। একদিন রাতে যেটা হয়েছে সেটা ট্রান্সফরমারের কেবল পুড়ে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া তেমন লোডশেডিং নেই। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না তেমন কোন লোডশেডিং নেই। স্বাভাবিক রয়েছে বিদ্যুৎ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে