1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিতরণের আগেই নতুন বছরের ৬০ হাজার বই বাতিল! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিতরণের আগেই নতুন বছরের ৬০ হাজার বই বাতিল!

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

‘মানসম্মত না হওয়ায়’ আগামী শিক্ষাবর্ষে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা প্রাথমিক স্তরের ৬০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পাঠানো বই যাচাই-বাছাই করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে মুদ্রণের অগ্রগতি ও গুণগত মান বজায় রাখতে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালালোচনা সংক্রান্ত সভা সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতি মো. জাকির হোসেন।

সভা সূত্র জানায়, সভার সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান বজায় রেখে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ এবং যথাসময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) জানান, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১০ কোটি ২৫ লক্ষাধিক পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য ৩৯টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ মুদ্রণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ বই মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, সরবরাহ করা বইয়ের মধ্যে কিছু সংখ্যক বই মানসম্মত নয় মর্মে মাঠ পর্যায় থেকে জানা যায়। যেমন- কোনো বইয়ের কাগজের মান ভালো নয়, আবার কোনো কোনো বইয়ের মুদ্রণ সঠিকভাবে হয়নি। এ বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ব্যুরো ভেরিটাস বাংলাদেশ প্রাইভেট লি. এর প্রতিনিধির কাছে বিস্তারিত জানতে চান।

ব্যুরো ভেরিটাস প্রতিনিধি মো. আফজাল কবির ভুইয়া জানান, মুদ্রণ করা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে একজন করে পরিদর্শক নিয়োজিত আছেন। তারা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থেকে মুদ্রণ কোয়ালিটি নিশ্চিত করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে ব্যুরো ভেরিটাসের প্রতিনিধি থাকেন না। তাছাড়া, একাধিক প্রতিষ্ঠানে একজন প্রতিনিধি থাকার বিষয়েও মাঠ পর্যায় থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে সচিব ব্যুরো ভেরিটাসের প্রতিনিধিকে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের প্রত্যেকের নাম, মোবাইল নম্বরসহ তালিকা অবিলম্বে মন্ত্রণালয়, ডিপিই ও এনসিটিবিকে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকার বিভাগীয় উপপরিচালকের মাধ্যমে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মুদ্রণ কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং ইতোমধ্যে ৬০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে।

সভায় পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের অগ্রগতি ও গুণগত মান এবং বিতরণের অগ্রগতির বিষয়ে এনসিটিবিকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার, মুদ্রণ কাজ তদারকির জন্য ডিপিই এবং এনসিটিবি মনিটরিং কার্যক্রম বেগবান করবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত প্রতিবেদনও পাঠাবে। এনসিটিবি মুদ্রণ সামগ্রী বুঝে নিয়ে ডিপিইর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিবেদন দেবে বলে জানানো হয়।
জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST