খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। দেশটিতে কঠিন রক্ষণশীল বলে পরিচিত দলটির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনলাইনে দলটির সদস্য হতে আবেদনের হিড়িক পড়েছে। অনলাইন বিজেপির সদস্য হিসেবে নেট দুনিয়ায় ভাসছে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসারাম এবং ধর্মগুরু রাম রহিম সিংহের নাম! এখন জানা গেল, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও নাকি অনলাইন বিজেপির সদস্য হয়েছেন!
বিজেপির সদস্য হিসেবে ইমরান খানের ডিজিটাল পরিচয়পত্র সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে পরিষ্কার করে লেখা তার নিজের এবং দেশের নাম। হাত ঘুরে সে পরিচয়পত্র আহমেদাবাদ শহরে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কমলেশ পটেলের মোবাইলে এসেও পৌঁছায়। বিজেপি সদস্য হিসেবে পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম দেখে তাজ্জব বনে যান তিনি। পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন।
পরে পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ইমরান খানের ওই অনলাইন পরিচয়পত্র ভুয়া। আহমেদাবাদের বাসিন্দা গুলাম ফরিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি এই কাণ্ড করে বসেছেন। তার মোবাইল থেকেই প্রথম এই ছবিগুলো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুলামের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধৃত ব্যক্তি নেহাতই মজার ছলে এই কাজ করেছেন নাকি এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কমলেশ পটেলের দাবি, বিজেপির বদনাম করার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ছবি শেয়ার করেছেন ফরিদ।
ফরিদ শেখ নিজেও বিজেপির সদস্য হিসেবে অনলাইনে নাম লিখিয়েছেন। তারপর নিজের ফোন থেকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আসারাম এবং রাম রহিম সিংহকেও সদস্য হিসেবে অনলাইন রেজিস্টার করিয়ে দেন।
অনলাইন রেজিস্টার করালে একটা ভার্চুয়াল সদস্য কার্ড তৈরি হয়। সেই সদস্য কার্ডের ছবিই তিনি মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন