নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজের সম্পত্তি বুঝে পাওয়া ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে
বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন
পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী সালেহা বেওয়া। স্থানীয়
প্রভাবশালীদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে জমি বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলাও
করেছেন বেশ কয়েকটি। এ ছাড়া নগরীর শাহমখদুম থানাতেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ
করেছেন তিনি। থানার কোন অভিযোগরই নিষ্পত্তি হয়নি। সব অভিযোগই
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত গত অক্টোবর মাসে তিনি রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, পাকুড়িয়া গ্রামে তার বাড়ির
পাশের একটি জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। স্থানীয় কয়েকজন
প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করার হুমকি দেয়। বাধা দিলে জখম করারও হুমকি দেয়।
এর আগে গত জুলাই মাসে তিনি রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন,
প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের জমি দখল করার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
তার আগে
প্রতিপক্ষরা তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ ছাড়া জমিতে
লাগানে ২০০ মরিচের গাছ নষ্ট করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। শুধু তাই নয় ভুট্টা
ও কাঠুয়া ডাটাও নষ্ট করে দিয়েছে তারা। তারপরে তিনি গত অক্টোবর মাসে
রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও একটি মামলা দায়ের করেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার জমির পাঠ পানিতে জাগ দেওয়া ছিল। সেই জমির
পাঠ প্রতিপক্ষের লোকজন চুরি করে নিয়ে যায়। তার আগে তিনি গত এপ্রিল মাসে
তিনি একটি অভিযোগ করেন। প্রত্যেক মামলার প্রায় একই আসামী বা তাদের আত্মীয়
স্বজন। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন।
সরজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই
নারীর সাথে প্রায় তার প্রতিবেশী কয়েকজনের জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই
থাকে। কিন্ত কোন সুরাহা হয় না। বিধবা মহিলা সালেহা প্রচুর অত্যাচারের
শিকার হন।
সালেহা বেগম বলেন, আমি ন্যায্য বিচার চাই। আমার সম্পত্তি আমি বুঝে চাই। এ
জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নগরীর শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, তার অনেক
অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে