বিনোদন,ডেস্ক: ভ্রাম্যমাণ ‘পৃথ্বীরাজ থিয়েটর’ শুরু করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কপূর। নির্বাক ছবির জগতেও তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাঁর সেই ঐতিহ্যই আরও এগিয়ে নিয়ে যান তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজ কপূর।
বলিউডের ‘ফার্স্ট ফ্যামিলি’ বললে বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না। প্রথমে থিয়েটার ও পরবর্তীকালে সিনেমা— ভারতীয় অভিনয় জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম বলিউডের কপূর পরিবার।
ভ্রাম্যমাণ ‘পৃথ্বীরাজ থিয়েটর’ শুরু করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কপূর। নির্বাক ছবির জগতেও তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাঁর সেই ঐতিহ্যই আরও এগিয়ে নিয়ে যান তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজ কপূর। পুরো নাম রণবীর রাজ কপূর।
শুধুমাত্র দেশেই নয়, বিশ্বে তিনি খ্যাত রাজ কপূর নামেই। যাঁকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো-ম্যান অফ হিন্দি সিনেমা’।
অভিনয় জগতের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা রাজ কপূর, ১৯৪৮ সালে নির্মাণ করেন ‘আর কে স্টুডিও’। তৎকালীন বম্বের চেম্বুর অঞ্চলের এই স্টুডিওর প্রথম ছবি ছিল ‘আগ’ (১৯৪৮)। ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘শ্রী ৪২০’ (১৯৫৫), ‘সঙ্গম’ (১৯৬৪), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০), ‘ববি’ (১৯৭৩), ‘রাম তেরি গঙ্গা ময়লি’ (১৯৮৫), ‘হিনা’ (১৯৯১)— আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছবির ইতিহাস জুড়ে রয়েছে এই স্টুডিওর সঙ্গে।
কিন্তু সেই ঐতিহ্য বোধহয় এবার সত্যই ইতিহাস হতে চলেছে। এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে। সম্প্রতী, কপূর পরিবারের তরফ থেকে ঋষি কপূর জানিয়েছেন যে, আর কে স্টুডিও-কে ‘মেনটেন’ করা এই মুহূর্তে বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছে। যে কারণে রাজ কপূরের স্ত্রী কৃষ্ণা রাজ কপূর ও তাঁর পাঁচ সন্তান (রণধীর, ঋষি, রাজীব, রিতু নন্দা ও রিমা জৈন) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রসঙ্গ, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আর কে স্টুডিওতে আগুন লেগে প্রভূত ক্ষতি হয়। রিয়্যালিটি শো ‘সুপার ডান্সার ২’ চলাকালীন আগুন লাগে। পুড়ে যায় স্টুডিওর বেশিরভাগ অংশ। সঙ্গে আর কে ফিলমস-এর স্মারকও। এই ব্যানারে যে অভিনেত্রীরা এক সময় পর্দা কাঁপিয়েছিলেন, তাঁদের সব কস্টিউম রাখা ছিল স্টুডিওতে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাও। ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০) ছবির সেই বিখ্যাত মুখোশটিও পুড়ে গিয়েছে বলে জানান ঋষি কপূর।
কিন্তু, বিক্রি করব বললেই তো আর তা সম্ভব নয়। আর কে স্টুডিও অন্য হাতে যেতে দু’দিনও লাগতে পারে, বা দু’বছর। তাঁদের কোনও ‘টাইমলাইন’ নেই বলেই জানিয়েছেন ঋষি কপূর।
/জেএন