২০১৯ সালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানার মামলায় দলের ১৮ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় একবছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। দণ্ডবিধি ৩৩২ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার কারাদণ্ড একসঙ্গে চলায় তাদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ বাদল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, চকবাজার থানার যুবদলের আহ্বায়ক সাভা করিম লাকি শাহ, ৫৯ ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি সাইদ হোসেন সোহেল, ২৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাসাদ্দেক হোসেন বাবলু, বিএনপির নেতা শফিউদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, আরমান আহম্মেদ, ফরহাদ হোসেন বান্টি, রিয়াজউদ্দিন বাদশা, মো. রফিকুল ইসলাম রাসেল, নাজিমউদ্দিন নাজু, মনিউর রহমান মনির, টিপু সুলতান, রফিকুর ইসলাম, মো. লিটন ও মুহিন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি মীর আশরাফ আলী আজমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর চকবাজার থানা এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে বিএনপি। এসময় পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ ঘটনায় চকবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন উপপরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এসআই মুন্সী আব্দুল লোকমান। এরপর ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠনের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী। মামলার বিচার চলাকালে চারজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বিএ…