নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি ২০দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ১নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হাজী শহীদ আলম, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, পবা উপজেলা বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, মহানগর যুবদরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, মহানগর ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, রাজপাড়া থানা ছাত্রদল নেতা আপেল ও ১নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম সহ অত্র ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সকল নেতৃবৃন্দ মিলে ১নং ওয়ার্ডেও কাশিয়াডাঙ্গা, আদুবুড়ি, কাঁঠালবাড়িয়া, সাহজীপাড়া, হারুপুর, সায়েরগাছা, রায়পাড়া, পূর্বপাড়া, গোলজারবাগ, পুরাপাড়া, মুন্সিপাড়া, হড়গ্রাম ও পীরসাহেব পাড়া সহ অত্র ওয়ার্ডে অন্যান্য পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে যান এবং ধানের শীষে ভোট প্রদান করে ২০দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বুলবুলকে বিজীয় কওে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। সংযোগকালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা ধানের শীষে পক্ষে ¯েøাগান দিতে থাকেন। এতে অত্র এলাকায় ভোট উৎসবে পরিণত।
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের নিকট নির্বাচনে অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১নং ওয়ার্ড সহ অন্যান্য ওয়ার্ডে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ও ফেস্টুন সরকার দলীয় প্রার্থীর সন্ত্রাসীর টাঙ্গাতে বাধা প্রদান করছে। কোথায় এগুলো টাঙ্গালে তারা ছিড়ে নষ্ট করে ফেলছে। এছাড়াও ভোটারদের এখন থেকেই ধানের শীষে ভোট দিতে নিষেধ করছে। এমনকি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়া জন্য ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। গেলেও নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী শান্তির শহর। শান্তি শহর হিসেবে তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু এই সরকারী দলীয় প্রার্থী ও তাদের দোসরদের জন্য রাজশাহীর পরিবেশ ইতোমধ্যে গরম হতে শুরু করেছে। নির্বাচনে বিএনপি’র অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনপ্রিয়, সুশৃংখল একটি দল। এছাড়াও দলের মধ্যে কোন দন্দ বা কোন্দল নেই। বিএনপি নেতারা এখন পূর্বের থেকে অনেক একতাবদ্ধ ও সংগঠিত। সুষ্ঠ নির্বাচন তারা আসা করছেন। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী প্রায় ৭০হাজার ভোটে বিজয়ী হবে। তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে কোনভাবেই বিশৃংখলা করতে দেওয়া হবেনা। বিএনপি নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও সরকারের নীলনক্সা ও প্রহসনের নির্বাচন রুখে দেবে বলে জানান এই নেতা।
এদিকে কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার ষাটোর্ধ্ব মুসিলিমা নামে একজন বৃদ্ধ মা বলেন, ভোটতো ধানের শীরেষ দেব তবে যেভাবে সরকারী দলের লোকজন ভয় দেখাচ্ছে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারব কিনা তা নিয়ে দু:চিন্তায় আছি। অত্র এলাকায় তার মত আরো অনেকে একই অভিযোগ করেন। সেইসাথে তারা সকল বাধা অতিক্রম করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন বলেও জানান।
সেখানকার বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, এই নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তি, অবৈধ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে। সেইজন্য তারা সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হলেও নিজেদেও ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দেবেনে এবং ভোটারগন যাতে নিশ্চিন্তে ভোট প্রদান করতে পারে তার ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেনে। এছাড়াও বিকেলে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডেও তিনি নেতাকর্মীদেও নিয়ে গণসংযোগ করেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে