নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে পথসভা চলাকালীন সময়ে নগরীর সাগরপাড়া মোড়ে বোমা হামলাকারী জাবেদ ও আবেদ সনাক্ত হলেও গ্রেফতার না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জাবেদ ও আবেদ ওই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। জাবেদ বিএনপি নেতা শাহিন শওকতের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ও ছোট ভাই আবেদ নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ছত্রছায়ায় থাকে। এরা দুই ভাই বিএনপি ও আ’লীগের শীর্ষ দুই নেতার ছত্রছায়ায় চললেও এদের নির্দিষ্ট কোন দল নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে । এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় যত কুকর্ম ও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে সবকিছু জাবেদ-আবেদের কাজ। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চলে। তাদের নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। বোমা হামলার পর জাবেকে স্বেচ্ছাসেবক দল ও আবেদকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ দাবি করলেও তারা কোন দলের একনিষ্ঠ কর্মী নয় বলে এলাকাবাসী দাবি করে। এদের কাজ শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়।
বোমা হামলায় আহত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাভিশনের রাজশাহীস্থ স্টাফ রিপোর্টার পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য এবং পথচারী স্বপন কর্মকারকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু হামলার সাথে জড়িত জাবেদ ও আবেদের নাম প্রকাশ করে। তিনি দাবি করেন, এই দুই ভাই বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের সনাক্ত করেছে। তাদের ধরতে গেলে তারা অস্ত্র উচিয়ে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে অন্যদের সাথে জাবেদ ও আবেদ পরিকল্পনা এবং হামলাকারী। তারা চিহ্নিত হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয় আরেক সূত্রটি নিশ্চিত করেছে, বোমা হামলা করার পর জাবেদ ও আবেদসহ হামলাকারীরা ২১ নং ওয়ার্ড সরকার দলীয় কাউন্সিলরের চেম্বারে গিয়ে অবস্থান করেন। তারা সেখানে কিছুক্ষণ থেকে চলে যায়। এদিকে, ওই দিন রাতেই অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামী করে বোসপাড়া ফাঁড়ির এসআই শামিম বাদি হয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আশরাফুল ইসলাম হিমেল নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। সে নগরীর বোসপাড়া এলাকার আনারুলের ছেলে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বোমা হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও গ্রেফতার হচ্ছে না। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের তেমন দৃশ্যমান ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। চিহ্নিতদের না ধরে পুলিশ অন্যকে ধরে বিষয়টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিহ্নিত হয়েছে বলেই গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ কোন পক্ষ হয়েই কাজ করছেনা। যারা জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের পক্ষে পথসভা চলাকালে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বোমা হামলায় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমআর