1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাড়ি বাড়ি গিয়ে দা-বটিতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শানওয়ালারা - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন

বাড়ি বাড়ি গিয়ে দা-বটিতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শানওয়ালারা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আর মাত্র একদিন পরে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। আর ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হাসুয়া, দা ও পুরাতন ছুরি-চাকুতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শানওয়ালারা। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাড়ি বাড়ি ঘুরে দা বটিতে ধার দিচ্ছেন শানওয়ালারা। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে যেমন কামার পল্লীতে ব্যস্ততা বেড়েছে তেমনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরাতন দা বটিতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শানওয়ালারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০/১৫ দিন আগে রাজশাহী মহানগরীতে বেশ কয়েকজন শানওয়ালা পুরাতন, দা, হাসুয়া, কুড়াল, ছুরি-চাকুসহ বিভিন্ন লোহার তৈরি জিনিসে ধার দিতে আসেন। এরপর থেকে

বিরামহীনভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তাদের কার্যক্রম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা বাড়ির মালিককে ডেকে দা বটিতে ধার দিচ্ছেন। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার তাদের ব্যবসা ভাল চলছেনা। কারণ চায়নার তৈরি কম দামি দা হাসুয়া ও ছুরি-চাকুর প্রভাবে তাদের ব্যবসাতেও মন্দা লেগেছে। কম দামে এসব জিনিস পাওয়ায় কুরবানীর সময় বেশিরভাগ মুসলমানরা পুরাতন ছুরি-চাকুতে ধার না দিয়ে নতুন কিনে নিচ্ছেন। অন্য বছরগুলোতে তারা নির্দিষ্ট সময়ে বেশি কাজ করেছেন। বেশি কাজ করতে পারার কারণে বেশি আয়ও হয়েছে।
শানওয়ালারা পুরাতন চাকু ধার দিচ্ছেন মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে। হাসুয়া ও

অন্যান্য জিনিস ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে শান দিয়ে দিচ্ছেন। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ব্যবসা না হলেও কাজ একেবারে কম হচ্ছে না। কামারপল্লীর তুলনায় এদের কাজও চলছে সমান তালে। শুধু রাজশাহী মহানগর নয়। আশেপাশের উপজেলাগুলোতেও চলছে পুরাতন ছুরি-চাকুতে ধার দেওয়ার কাজ। পবিত্র ঈদুল আযহায় পশু কোরবানী দিয়ে মাংস কাটার কাজে এসব হাতিয়ার ব্যবহৃত হয়। একজন শানওয়ালার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমরা বেশ কয়েকজন রাজশাহী এসেছি। আসার পর থেকেই

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছুটছি পুরাতন দা বটিতে ধার দেওয়ার জন্য। অন্য বছরের তুলনায় এবার কাজ কম হচ্ছে। অল্প টাকায় পুরাতন দা বটিতে ধার দিয়ে দিচ্ছি। প্রতিদিন সকালে উঠে আমরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করছি। তিনি আরো বলেন, পুরাতন চাকু ধার দিয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ১০ টাকা। ছুরি ও হাসুয়ায় ধার দিতে নিচ্ছি ১৫ থেকে ২০ টাকা। অন্য বছরগুলোতেও ঈদুল আযহার সময় রাজশাহীতে আসি। তবে ঈদের আগের দিন নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। অন্য বছরের তুলনায় কেন কাজ কম হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বশির বলেন, চায়নার তৈরি লোহার দা বটি কম দামে কিনে পাওয়া যায়। তাই ঈদের সময় অধিকাংশ মুসলমানরা নতুন কিনে মাংস কাটার কাজ করে। তারপরও খুব কম কাজ হচ্ছে না।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST