খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না, তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাঁড়িতে কি রান্না হচ্ছে- এটা জনপ্রতিনিধিরা ভাল করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার বাল্যবিবাহের ঘটনায় তারা দায়ি হবেন। জনপ্রতিনিধি হবেন, দায়িত্ব নেবেন না- তা হবে না। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে শুনানির সময় এসব কথা বলেন উচ্চ আদালত।
প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের (ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর) কেন পদচ্যুত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একটি জাতীয় দৈনিকে শনিবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন আদালত।
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব এবং সমাজকল্যাণ সচিবকে এ রুলের বিবাদি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে এ আদেশ সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে (ইউএনও) জানিয়ে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৩ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
‘২৪ ঘণ্টায় ৮ বাল্যবিবাহ বন্ধ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ অক্টোবর বিকেল থেকে ২৭ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত নাটোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ঢাকার সাভারে ৮ কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রেহাই পায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।