নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাবার বাড়ি থেকে এসে হঠাৎ করেই শ্বশুর-শাশুড়ির উপর হাসুয়া নিয়ে হামলা করে ছেলে কামালের বউ দিলরুবা। অতর্কিতভাবে হাসুয়া দিয়ে হামলা করে দিলরুবা শ্বশুর ইব্রাহিম ও শাশুড়ি সুফিয়া বেগমের মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দিলরুবা পালিয়ে যায়। তাদের পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত ইব্রাহিমের এক নারী আত্মীয় জানান, ইব্রাহিম ও সুফিয়ার তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। ছেলে কামালের বউ দিলরুবা বাচ্চা হতে বাবার বাড়ি গিয়েছিল। সেখানেই ছিল। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে শ্বশুর ও শাশুড়িকে এলোপাথাড়িভাবে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পারিবারিক কোন এক বিষয় নিয়ে ছেলের বউ দিলরুবা তাদের উপর হামলা করেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরজমিনে রামেক হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। তারা চোখ মেলে তাকাতে পারছেন না। তাদের সেবা করছেন এক প্রতিবেশী। তার ছেলে কামাল তখনো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার অচিনতলা এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে তাদের ছেলে কামালের বউ দিলরুবা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে