বান্দরবানে ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূর আলম মিনা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে রুমা ও থানচি থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতে থানচি থানায় আক্রমণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
ড্রোন উড়িয়ে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের খুঁজছে পুলিশ
এরপর দুই দিন অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করে র্যাব। এরপর হঠাৎ করেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই এলাকায় এখনও থমথমে।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কেএনএফ। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর তারা থানচি থানার কাছাকাছি আত্মগোপনে রয়েছে। আবারও তারা আক্রমণ করতে পারে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে আমরা প্রস্তুত।
বিএ…