পুঠিয়া (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর মাছ-মুরগি হাটায় ওজনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। উত্তর বঙ্গের ঐতিহ্যবাহি এই হাটে ওজনে কারচুপি হওয়ায় একদিকে হাটের সুনাম যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। সরজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার এই সর্ববৃহত হাটটি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলার দুইদিন বসে। এছাড়াও প্রতিদিন খোলা থাকে মুরগি হাটা। বানেশ্বর হাটের দক্ষিণ পার্শ্বের শেষ প্রান্তে মুরগি হাটাটি। এখানে পাইকারী ও খুচরা মুরগি ব্যবসায়ীর তাদের ব্যবসা করে থাকেন। এলাকাবাসী ছাড়াও হাটের দুর-দুরন্ত থেকে আগত মুরগি ক্রেতার এখানে মুরগি কিনতে আসেন। দেখে মনেই হবেনা যে এখানে মুরগি ব্যবসায়ীরা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে আসে। ডিজিটাল পাল্লা ও লাল
রঙ্গের গামলা বা বালতিতে মুরগি ওজন করেন তারা। এই ডিজিটাল পাল্লা ও বালতি, গামলাই হচ্ছে তাদের ওজনে কারচুপির একমাত্র মাধ্যম। কোন ক্রেতা মুরগি মাপার জন্য তাদেরকে বললেই মুরগিটি তাদের ডিজিটাল পাল্লার উপর থাকা গামলা বা বালতিতে দিয়ে ওজন করে দেন। এই গামলা বা বালতির ওজনসহ মুরগির ওজন করা হয়। প্রথমে গামলার ওজন বাদ দেওয়া হয় ডিজিটাল পাল্লায়। পরে মুরগি গামলা বা বালতিতে দিয়ে মাপার সময় আবার জিডিটাল পাল্লায় চাপ দিয়ে মুরগি ওজন করা হয়। সে সময় ডিজিটাল পাল্লাটি পূর্বে ন্যয় অর্থাৎ
গামলাসহ ওজন করা হয়। গত শনিবার হাটে উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম মুরগি কিনতে যান এই মুরগি হাটায়। তিনি দুইটি মুরগি ১৮০ দরে ওজন করান। মুরগি গুলোর ওজন হয় ১কেজি ৭’শ গ্রাম। সেসময় তার সন্দেহ হলে, পুনরায় ওজন করলে ডিজিটার পাল্লার উপর থাকা বালতি বাদে মুরগির ওজন হয় ১কেটি ৫’শ ৯০ গ্রাম অর্থাৎ প্রায় ২’শ গ্রাম কম। অনেকই বিষয়টি না বুঝে মুরগি কিনে ঠকছেন বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জিডিটাল পাল্লার ওপরে থাকা বালতি বা গামলাসহ মুরগি ওজন করা হয়। এসব বালতি বা গামলা ওজন
বাদ দিয়ে মুরগির ওজন করার কথা থাকলেও তার তা করছে না। ওজনে কারচুপি করা জন্য তারা জেনে শুনেই করেন। ধরা পড়লেই ভুল হয়ে গেছে বলে তারা পার পেয়ে যান। এ এছাড়াও এই হাটের মাছ হাটা ও মাংস হাটায় একই অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সকুসিভ ম্যাজিস্টেড ওলিউজ্জামান বলেন, আমার কাছে এবিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। হাটের দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর/এস