পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির গুজবে লবন কিনার হিড়িক পড়েছে। বানেশ্বর হাটে ক্রেতাদের মুদিখানার দোকানে ভিড় করতে দেখাগেছে। কেউ কিনছেন পাঁচ কেজি কেউ কিনছেন ১০ কেজি। ক্রেতারা বলছেন তারা শুনেছেন লবনের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা অতিরিক্ত লবন কিনে রাখছেন। লবনের দাম বৃদ্ধির খবরে বানেশ্বর হাটের পাইকারী ব্যবসায়ীরা লবন মজুদ করা শুরু করে। এ খবর পেয়ে পুঠিয়া ভার প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজ বানেশ্বর হাটে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুঠিয়া থানার পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম, পুঠিয়া থানার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি মজুদ করার সময় এক ভ্যান লবনসহ পাইকারী ব্যবসায়ী মঞ্জুর রহমানকে আটক করেন এবং খুচরা ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বাবলুকে আটক করেন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পাইকারী ব্যবসায়ী মঞ্জুর রহমান বাবলুকে ১ বছরের জেল ও খুচরা ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করনে। এছাড়াও রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামের লবন ও ভূষি মালের ব্যবসায়ী মকলেসুর রহমানের গোডাউনে সিলগালা করা হয়। অভিযানের পর বানেশ্বর হাটের লবনের বাজার
স্বাভাবিক হয়। লবনের দাম বৃদ্ধির গুজ্ববে পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাজারসহ পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও হাটে মুদিখানার দোকানীরা খোলা লবন ২০ থেকে ২৫ টাকা ও প্যাকেট লবন ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখাগেছে। পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাজারের সব কয়টি মুদিখানার দোকানে সন্ধার পর থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে সবকয়টি দোকানের লবন বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এব্যপারে ভারপ্রপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজ জানান, লবনের দাম বৃদ্ধি এটা একটি গুজবের মতন। লবনের কোন সংকট নেই। আপনারা বেশি দামে লবন ক্রয় করবেন না। বেশি দামে কেউ লবন বিক্রি করলে আমাদের খবর দেন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
আর/এস