রাজশাহীর বানেশ্বরে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্তেও প্রায় ৯৩ হাজার ভোজ্য তেলসহ চার ব্যবসায়ী গ্রেফতারের প্রতিবাদে জানিয়েছে বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে মুক্তি, জব্দকৃত তেল ফেরত ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবীতে আজ (১৪ মে) দুপুরের বানেশ্বর বনিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবাসয়ী নেতারা দাবী করেন, সরকারী বিধি অনুয়ায়ী একজন ব্যবসায়ী পাইকারী পর্যায়ে ১৫০ ড্রাম তেল ৩০দিন পর্যন্ত মজুদের অধিকার রাখে। অথচ তেল মজুদের নামে যে সব ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার হয়েছে তাদের গুদামে সোয়াবিন ও পামওয়েল তেল ১ মে থেকে ৮ মে এর মধ্যে কেনা। ১০ মে অভিযানের দুই দিন আগের এক ব্যবসায়ী সোয়াবিন ক্রয় করে। এই সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ব্যবসায়ীদের কাছে ছিল।
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবসায়ীদের সেই কাগজপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করেনি। এমনকি রাস্তার উপর রাখা ট্রাক থেকেও তেলের ড্রাম জব্দ করা হয়। তেলের সাথে থাকা চালানপত্র পুলিশকে দেখাতে চাইলেও তারা দেখেনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়, এই চার ব্যবসায়ী আশপাশের ৪টি জেলার ১০টি উপজেলায় তেল সরবরাহ করে থাকে। তেলের সংকটকালেও তাদের কাছে যারাই তেল নিতে এসেছে তারা খালি হাতে ফেরত যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা জানান, ওই চার ব্যবসায়ী গ্রেফতারের পর আশপাশের উপজেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে মানুষের দৈনন্দিন কাজে, হোটেল রেস্তোরা, ডাল মিল সহ অনান্যা কাজে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি দেয়া না হলে এলাকায় তেলের সংকট দেখা দিতে পারে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, তারা এই মজুদদার বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে নয়, তবে প্রতৃক ব্যবসয়ীরা যাতে হয়রানীর শিকার না হয় এব্যাপারে পুলিশকে আরো সর্তক থাকা উচিত। কারণ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানীর শিকার হলে তারা তেল আমদানীর প্রতি আগ্রহ হারাবে। এতে নতুন করে রাজশাহীতে তেলের সংকট দেখা দিবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক ৪ ব্যবসায়ীকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে রাজশাহীতে তেল সরবরাহের দাবী জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বানেশ্বর বাজার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবায়ের মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ওসমান আলী, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
বিএ/