খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাক হয়নি। অচৈতন্য হয়ে বাথটাবের জলে পড়ে গিয়ে, দম আটকে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট তেমনই বলছে। দুবাই পুলিশের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিচ্ছে সেখানকার সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস। শ্রীদেবীর রক্তের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলও। তবে সব কিছু খতিয়ে দেখে পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন— এটি দুর্ঘটনাই, এর পিছনে অন্য কোনও হাত নেই।
ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি প্রশাসন।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ দুবাইয়ে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মী এবং কপূর পরিবারের আত্মীয় সৌরভ মলহোত্রকে ডেকে পাঠানো হয় মর্গে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁরা বেরিয়ে আসেন। দুপুর দুটো নাগাদ ফের তাঁদের দেখা করতে বলা হয়। এর পর জানানো হয়, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে শ্রীদেবীর ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে।
এর কিছু ক্ষণ আগেই ফরেন্সিক দফতরের তরফে জানানো হয়, দ্বিতীয় বারের জন্য শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই। তখনই বোঝা গিয়েছিল, ওই দফতরের করা বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। এর পরেই দূতাবাসের কর্মী এবং সৌরভকে ডেকে পাঠানো হয় মর্গে।
গত শনিবার রাতে দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার থেকে শ্রীদেবীর অচৈতন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, অনেক ক্ষণ আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় প্রশ্ন তৈরি হচ্ছিল। ফরেন্সিক বিভাগ মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শ্রীদেবীর ডেথ সার্টিফিকেট দেবে না বলে জানিয়ে দেয়।
এ দিন সকালেই জানা গিয়েছিল, শ্রীদেবীর দেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ফরেন্সিক দফতর তাঁর রক্ত এবং দেহাংশের নমুনা সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট তখনও জমা দেয়নি। ফলে, ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেও ডেথ সার্টিফিকেট মিলছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়, ফের ময়নাতদন্ত হতে পারে। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তবে, বেলা সওয়া ১টা নাগাদ ফরেন্সিক দফতর জানায়, তার আর প্রয়োজন নেই।
সব মিলিয়ে দুবাই থেকে কখন শ্রীদেবীর মরদেহ মুম্বই আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বিকেল চারটে নাগাদ শ্রীদেবীর মরদেহ নিয়ে বিশেষ বিমানে রওনা হতে পারেন বনি কপূর ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। তবে আজই শেষকৃত্য হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে অনিল কপূরের বাড়িতে রয়েছেন শ্রীদেবীর দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি কপূর। বলি মহলের তারকারা সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। অভিনেত্রীর প্রিয় রং ছিল সাদা। সেই রঙেই তিনি নিজের ঘর সাজাতে ভালবাসতেন। সে কথা মনে রেখেই শেষযাত্রার আগে তাঁর বাংলো সাজানো হচ্ছে সাদা ফুলে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ