খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বাড্ডায় ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় মো. রানা হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে ফয়সাল ও আল আমিনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আদালতের সূত্র মতে, শুক্রবার তাদের তিন জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঘটনার দায় স্বীকার করে রানা সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে ফয়সাল ও আল আমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া খন্দকার জিয়াউর রহমান ওরফে রফিকুল আলম ওরফে মশিউর মিশুকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১০ জুলাই রাতে বাড্ডা থানার আফতাব নগরের ২ নম্বর রোডের একটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১২ জুলাই বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ১৬ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মো. খন্দকার জিয়াউর রহমান ওরফে রফিকুল আলম ওরফে মশিউর মিশু (৩৯), মো. ফয়সাল (২৮), মো. আল আমিন (২৫) ও মো. রানা হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় আসামিদের হেফাজত থেকে খোয়া যাওয়া দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি আইফোন, দুইটি সিম্ফনি মোবাইল ফোন, একটি রাউটার, এক জোড়া স্বর্ণের চুড়ি, এক জোড়া গোল্ড প্লেটের বালা, রুপা ও ইমিটেশন মিশ্রিত একটি গলার হার ও এক জোড়া কানের দুল, অনেকগুলো ইমিটেশনের গহনা, নগদ চার হাজার টাকা, একটি দা ও দুইটি চাকুসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
খবর২৪ঘন্টা/নই