বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় সুদ ব্যবসায়ী সুদের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আফাজ উদ্দিন (৬০) নামের এক বৃদ্ধ আত্নহত্যা করেছে। উপজেলার ভানুকর মন্ডলপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে আম গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহতহ্যা করেছে আফাজ।
বাঘা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ভানুকর মন্ডলপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন একই গ্রামের গ্রাম ডাক্তার আবদুল গাজির ওষুধের ফার্মেসীতে বসে বছর খানেক আগে স্থানীয় নিয়াজ উদ্দিন, ইয়াছিন আলী, পাতান আলীর স্বাক্ষরিত ১৫০ টাকার একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চারঘাট উপজেলার নজরুল ইসলাম (কশাই)কে ৩ লক্ষ টাকা দেন। এ টাকার বিনিময়ে নজরুল (কশাই) কোন সপ্তাহে এক হাজার টাকা, আবার কোন সপ্তাহে এক হাজার ৫০০ টাকা দিত আফাজকে।এ সুদের টাকা তিন/চার মাস থেকে আর দিতে পারেনি নজরুল(কশাই)। এছাড়া মূল ৩ লক্ষ টাকাও ফেরত দিতে পারেনি সে।
ফজলু হক ছেলে ও জামাই আলতাফ হোসেন লাশ উপরে রেখে গ্রাম ডাক্তার আবদুল গাজির মাধ্যমে নজরুল কশাইকে টাকা দেয়া হয়েছে মর্মে, চাপ প্রয়োগ করে।
এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ডাক্তার আবদুল গাজির ভাই কাজিম উদ্দিন তাদের ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার একটি ব্যাংকের চেক প্রদান করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।
এ বিষয়ে গ্রাম ডাক্তার আবদুল গাজি বলেন, আমার সাথে আফাজ উদ্দিনের ভালো সম্পর্ক ছিল। বছর খানেব আগে আমার ওষুধের দোকানে বসে নজরুল কশাইকে ৩ লক্ষ টাকা দেয় আফাজ। আফাজ উদ্দিনের লাশ উপরে রেখে তার ছেলে জামাই দাবি করেন আমার মাধ্যমে টাকা দেয়া হয়েছে নজরুল কশাইকে।তারা আমার উপর চাপ প্রয়োগ করলে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ব্যাংকের একটি চেক দিয়েছি। অযথা ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এ টাকার চেক দিয়েছি। আমার দোকানে বসে তারা টাকা লেন দেন করেছে সত্য।এর বেশী কিছু নয়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলী বলেন, সুদের টাকা দিয়ে ফেরত না পাওয়ায় আফাজ নামের এক বৃদ্ধ আত্নহত্যা করেছে। তবে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই