বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে উপজেলার কারিগরি সাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫’শ শিক্ষার্থী । উপজেলায় পৃথক ৩টি কেন্দ্রে এসব শির্ক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আব্দুর রহমান সরকার বি,এম কলেজ কেন্দ্রে ৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন, ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজ কেন্দ্র্রে ২ প্রতিষ্ঠানের ১৪৫জন ও বাঘা মহিলা বি.এম কলেজ কেন্দ্রে ৮৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও প্রথম বর্ষের ৫২৮ জন শিক্ষার্থী ওই তিন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানান কেন্দ্র সচিবরা।
এবার অনুমোদন পেয়েছে ২০১৫ সালে স্থগিত হওয়া ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজ কেন্দ্র । এই কেন্দ্র থেকে বাঘা মহিলা বি.এম কলেজ কেন্দ্রের দুরত্ব হলো প্রায় ২’শ গজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর তুলনায় কে›দ্রের সংখ্যা বেশী বলে মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞরা।
বাঘা মহিলা বি.এম কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাইদ মোঃ সিদ্দিক (বাবুল) জানান, ২০১৬ সালে এসএসসি গনিত পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজ কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট ১১ জন শিক্ষককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছিল। আব্দুর রহমান সরকার বি.এম কলেজে কেন্দ্র হওয়ার অনেক আগে থেকেই কেন্দ্র হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের জানান, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই কেন্দ্র ছিল। কোন এক ঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আমার দ্বন্দ্ব হয়। এ সুযোগে কেন্দ্রের বাইরে থাকা শিক্ষকদের আটক করা হয়েছিল। যাদের আটক করা হয়েছিল, তারা কেউ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলনা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারনে কেন্দ্রটি স্থগিত করেছিল বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ বছর কেন্দ্র দিয়েছেন। ২০০৫ সালে বাঘা মহিলা বানিজ্যিক কলেজ কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও নকল সরবরাহের অভিযোগ ছিল।
আবদুর রহমান বিএম কলেজের অধ্যক্ষ সামরুল হোসেন বলেন, এখন নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ের আগে এ পরিবেশ ছিলনা বলে স্বীকার করেছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, শিক্ষার্থীর সুবিধার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ কেন্দ্র দিয়েছেন। আগের ঘটনা আমার জানা নেই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ