বাঘা (রাজশাহী)প্রতিনিধি : পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙছে পদ্মার পাড়। চাপ চাপ মাটি ধসে পড়ে দীর্ঘ হচ্ছে ভাঙনের চিত্র। প্রায় ৪কিলেমিটার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমিসহ গাছপালা। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাদেখে বাড়ি ঘর বিলিন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন পদ্মা পাড়ের ২ গ্রামের মানুষ। এ ভাঙন শুরু হয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর,জোত কাদিরপুর ও আলাইপুর এলাকায় ।
শনিবার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে, পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পাশা-পাশি শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এবার যে সমস্ত জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে, তার সিংহ ভাগ জমিতে ছিল আম গাছ,খেজুর গাছসহ অন্যান্য গাছপালা। এবার ভাঙনের কবলে তার নিজস্ব চল্লিশ বিঘা জমিসহ আমগাছ বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মালিথার ১৭ বিঘা, একই গ্রামের আজিবার মালিথা ও আস্তুল মালিথার প্রায় বিশ বিঘা, আব্দুল মতিন মালিথার ৫ বিঘা, পাশ্ববর্তী গ্রাম জোত কাদিরপুর গ্রামের মুনছুর মালিথার তেরো বিঘা, কুদরত আলীর ১ বিঘা, শমসের আলীর ৩ বিঘা, হাফিজুর রহমানের পনেরো বিঘা, পাকুড়িয়ার হাফিজুর রহমানের ৩ বিঘা এবং মালিয়ানদাহ গ্রামের নয়ন পীরের ২ বিঘা জমিসহ প্রায় ২শতাধিক জমি ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। যার সিংহভাগ জমিতে আম ছিল বিভিন্ন গাছপালা।
গত তিন দশকে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে- নদীতে বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসত ভিটা,রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। এই সব পরিবারের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে পদ্মা। এদের অনেকেই বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসত বাড়ী গড়ে তুলে বসবাস করছেন।
পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু জানান, প্রতিবছর ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, পদ্মার এই ভাঙ্গনের খবর পেয়ে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।