বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় জননী ক্লিনিকে সিজার করার সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ফলে প্রসূতির স্বজন ও জনতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় ক্লিনিক বন্ধ করে সটকে পড়ে মালিক। শনিবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সবেরহাট-ব্যাংগাড়ি গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী আজমিরা বেগম পেটে ব্যাথা নিয়ে জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়।
এ সময় প্রসূতির কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অপারেশন থিয়েটারে সিজার করা সময় প্রসূতির মৃত্যু হলেও শিশুটি জীবিত আছে। এঘটনায় মৃতের স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হলে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয়া মালিক। প্রসূতির সিজার করেন জননী ক্লিনিকের মালিক ডা. আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী ডা. কান্তা আক্তারী।
মৃত প্রসূতির স্বামী সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরণের পরীক্ষা ছাড়াই অপারেশন করায় আমার স্ত্রী মারা গেছে। তিনি বলেন, আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে এ সিজার করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের চিকিৎসক। আমি রোগী ভর্তি করার পর তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে থেকে এসে সরাসরি ওটিতে নিলে কিছুক্ষণ পর রোগীকে মৃত্যু ঘোষণা করে তারা চলে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের ভারপ্রাপ্ত আরএমও সঞ্জয় কুমার দাস বলেন,চিকিৎসক স্বল্পতার কারনে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের অনেক সময় রোগী দেখেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের টিইচএ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে তারা দুইজনই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অন্যস্থানে গিয়ে সিজার করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব। তবে লোকমুখে শুনেছি জননী ক্লিনিকে এক প্রসূতি মারা গেছে। কার কে আমার জানা নেই।
জননী ক্লিনিকের মালিক ডা.আক্তারুজ্জামান বলেন, সিজারের সময় হার্ট স্ট্রোক করায় প্রসূতি মারা যান।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, এবিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনী ব্যবস্থা নিব।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই