রাজশাহীর বাঘায় রিপায়ারা আক্তার সিমা (৩৫) নামের এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বজলুর রহমান (৪০) নামের এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। চলতি বছরের গত ২২ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র তাকে ফরিদপুর সদর থানার বাখুনদিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই তৈয়ব উদ্দীন জানান, রাজশাহী জেলা পুলিশের চারঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম স্যারের নের্তৃত্বে জেলা ডিবির পুলিশ পরিদর্শকসহ পুলিশ ফোর্স আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। আদালতে বজলুর রহমানের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পরিকল্পিতভাবে রিপায়ারা আক্তার সিমাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। মামলার সার্থে অন্যদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া বজলুর রহমান, বাঘা উপজেলার বরাখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ ফকিরের ছেলে। নিহত রিপায়ারা আক্তার সিমা উপজেলার
বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর দেওয়ান পাড়া গ্রামের আতব আলী সরকারের মেয়ে। ৪ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাওয়ার পর একই উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের জুয়েল নামের একব্যক্তির সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেখান থেকে বিছিন্ন হয়ে উপজেলা সদরে একজনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। কাজের সুবাদে পাশের বাসা ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করতেন। তার দুইটি ছেলে রয়েছে। তারা নানার বাড়িতে থাকে।ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে মধ্যে বাবার বাড়িতে যেত রিপায়ারা আক্তার সিমা। ঘটনার দিন (২২ মার্চ) বিকেলে বাবার বাড়ি যাবে বলে বের হয়েছিলো। ওই দিন রাতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (২৩ মার্চ)সকালে উপজেলার আরিফপুর বিলের ধারের আম বাগান থেকে এই নারির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাÐের পর থেকেই থানা পুলিশ বিভিন্ন ভাবে এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছিল। সর্বশেষ ৬ এপ্রিল রাজশাহী জেলা পুলিশের চারঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম ডিবি পুলিশের একটি টিম নিয়ে বজলুর রহমানকে আটক করে
এস/আর