বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ষ্ট্যান্ড বাজারে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা । সেই সাথে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয় যেন দেখার কেউ নেই ।
এক কালের ঐতিহ্য বাহি উপজেলার দয়ারামপুর বাজার। তখন বড়াল নদের ছিল ভরা যৌবন। রাস্তা ঘাটের ব্যাবস্থা কম থাকায় বড়ল নদকে একমাত্র ব্যবসা বানিজ্যের পথ হিসেবে ব্যাবহার করা হতো। এই দয়ারামপুর বাজার কে ঘিরে নদীতে বড় বড় নৌকা নোংগর করতো। উপজেলার মধ্যে এখনো গুরুত্বপুর্ন ও বৃহৎ বাজার নামে সকলেই এক নামে চেনে। এই দয়ারামপুরকে ঘিরে রয়েছে কাদিরাবাদ ক্যান্টন মেন্ট সেনানিবাস , রয়েছে নাটোর জেলার একমাত্র ক্যান্টনমেন্ট পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় বাউট, পবলিক স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, ক্যান্টনমেন্ট এর সেনা সদস্য সাধারন মানুষের চলাচলে মুখরিত । বাজারটির তিন রাস্তার মোড় থেকে নাটোর জেলা শহরে প্রবেশের সহজ রাস্তা যে পথ দিয়ে লালপুর-বাগাতিপাড়ার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। উপজেলার সবচেয়ে প্রসস্থ রাস্তাটি দয়ারামপুর কেন্দ্রিক যে পথে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ সহ সকল সরকারী দপ্তরে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা । এছাড়া ওই তিন রাস্তার মোড় স্ট্যান্ড থেকে লালপুর, বনপাড়া, ঈশ্বরদিতে যাতায়াতের জন্য সবসময় বাস, অটো, লেগুনা গাড়ি পাওয়া যায়। দয়ারামপুর বাজার তিনরাস্তার মোড় কেন্দ্রী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। কিন্তু দূঃখ জনক হলো বিশ বছর আগে অপরিকল্পিত ভাবে পানি নিস্কাসনের জন্য কিছু ড্রেন নির্মান করলেও তা খুবই স্বরু এবং এখন সেই ড্রেন গুলি ময়লা আবর্জনার স্তুপ। তাই পানি বেরনোর বিকল্প পথ না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলা বদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর সেই সাথে শুরু হয় মানুষের ভোগান্তি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারন মানুষকে । স্থানিয়দের দাবি দয়ারামপুর বাজার মোড়ে পরিকল্পিত ড্রেজে ব্যাবস্তার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দুর করতে এবং নিদৃষ্ট স্ট্যান্ড নির্মান করতে হবে ।
দয়ারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু বলেন জলাবদ্ধতায় মানুষের সমস্যা হয়। তবে পানি নিস্কাসনের জন্য নতুন ড্রেন নির্মানের টেন্ডার হয়েছে । আশাকরি ড্রেনটি নির্মান হলে এই সমস্যা আর থাকবেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু জানান শুধু জলাবদ্ধতার সমস্যা নয় দয়ারামপুর বাজারকে আধুনিকায়ন করতে যাযা প্রয়োজন সকল ব্যবস্তা নেয়া হবে। দ্রুত সমস্যাগুলি লিখিত ভাবে আমার দপ্তরে জানাতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। আমি লিখিত পেলেই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ