নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় মাঠের মধ্যে ব্রীজ নির্মান হয়েছে কিন্তু রাস্তা ছাড়াই। ব্রিজটি গত দুই বছর আগে নির্মান করা হয়েছে। তবুও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ব্রিজটির ব্যয় হয়েছে ২১ লাখ টাকার ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই রাস্তাটি আজও অকেজো হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। উল্টো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশে-পাশের তিন গ্রামের হাজার হাজার সাধারন মানুষের। ব্রীজটির দু’পাশে রাস্তার নামমাত্র অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে কিন্তু পর্যাপ্ত মাটি ভরাটের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় উপজেলার জামগনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চাপাপুকুর, কৈচরপাড়া গ্রামের মাঠে ধান, গম, মসুর, সরিষাসহ নানান ফসলের আবাদ হয়। সেসব ফসল মাঠ থেকে কৃষকরা ভ্যান, পাওয়ার ট্রিলার এবং মহিষের গাড়িতে করে সমতলের ওই রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতো। বর্তমানে গত দু’বছর পূর্বে হঠাতই মাঠের মাঝে ওই রাস্তায় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রীজের সাথে সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে উচু করা আজও হয়নি। এর ফলে সমতলের রাস্তাটিও এখন আর ব্যবহার করতে পারছেনা এখানকার হাজার হাজার কৃষকরা। ব্রীজের সাথে সংযোগ সড়ক ও রাস্তায় মাটি কেটে উঁচু না করায় ব্রীজের পাশ দিয়ে অন্যের জমি দিয়ে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীদের দুর্ভোগরোধে দ্রুত মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এসব এলাকার কৃষকসহ সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মাঝখানে অনেক উচু করে ব্রীজটি তৈরি করা হয়েছে। ব্রীজের দুইপাশে সামান্য মাটি ভরাট করা হলেও বাঁকি দুইপাশে রাস্তায় কোন মাটি দেয়া হয়নি। ফলে সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট করায় তাল গাছের মতই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রীজটি কোন কাজেই আসছেনা। ব্রীজটিও অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর-চাপাপুকুর সংযোগ রাস্তায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ওই ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তায় সেতু প্রকল্পের আওতায় পিআইও দপ্তরের অধীনে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। যার ব্যয় হয়েছে, ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬ ফুট দীর্ঘ ব্রীজটি।
এই বিষয়টি জানতে, জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, তিনি সিংড়া উপজেলায় কর্মরত এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আগের কর্মকর্তার সময়ে ত্রাণের এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।
এস/আর