বাগমারা প্রতিনিধি : বাগমারায় কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর গুড়ি গুড়ি অসময়ে বৃষ্টিতে বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পচন আর পোকা দমনে বিষ প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছেনা কৃষকরা। ফলে চলতি বোরে মৌসুমের ধান উৎপাদনে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬০শতাংশ বীজতলা বিবর্ণ আর ঠান্ডায় বীজতলায় পচন এবং এ পর্যায়ে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের রোপণ নিয়ে দু:শ্চিতায় আছে বোরো আবাদের কৃষকরা। গত ১ সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ওঠানামার সাথে দিনব্যাপি ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন প্রায় অচল হওয়ার পাশাপাশি বহু বীজতলা কোন্ড ইনজুরির কবলে পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতে ঘন কুয়াশায় উপজেলার বেশিরভাগ বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে পচন ধরার উপক্রম হয়েছে এবং চারাগুলো বড় হতে পারছেনা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা ও উপসহকারি
কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকার বীজতলা সমূহ পর্যবেক্ষণ করে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। তাতেও তেমন কোন কাজ হয়নি। গত দুইদিন থেকে শীত ও ঘন কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় বীজ তলার ক্ষতির সম্ভবনা আরও বেশি হয়ে দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রাজিবুর রহমান জানান, কয়েকদিনের কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার কিছু বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে কোল্ড ইনজুরির কবলে পড়েছে। আমাদের জরুরী ভিত্তিতে পরামর্শদান এবং সত্যপ্রবাহ এবং কুয়াশা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা অনুক‚লে আসলেই বীজতলা তেমন ক্ষতি হবেনা। এছাড়াও বীজতলায় পলিথিনের আচ্ছাদন দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বোরো আবাদ কমিয়ে ভ‚ট্টা চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এবার বাগমারা উপজেলায় বোরো ধান চাষের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ১৯হাজার ৯শত ২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিক‚ল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
আর/এস