1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাগমারায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

বাগমারায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৬ জুলা, ২০২০

বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ভারি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে প্রায় সকল ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে বন্যার পানি। ইতিমধ্যেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বন্যার পানি বর্তমানে উপজেলার নদ-নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রাম। বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করায় হাজার হাজার মানুষ হয়ে পড়েছে পানি বন্দি।
জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিবনদীর টেংরা নামক স্থানের বাঁধ কেটে দেয়ার ফলে সরাসরি বাগমারায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বাগমারাবাসীও পড়েছে বন্যার কবলে। বন্যা কবলিত হয়েছে উপজেলার গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, আউচপাড়া, সোনাডাঙ্গা, গনিপুর শুভডাঙ্গা, কাচারী কোয়ালীপাড়া, শ্রীপুর, তাহেরপুর পৌরসভার কিছু অংশ, ভবানীগঞ্জ পৌর সভার বিভিন্ন এলাকা, বাসুপাড়া, দ্বীপপুর, যোগীপাড়া, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন। প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার সংখ্যা। বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধান, পাট, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত, পুকুর সহ পান বরজ।
বন্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে লোকজনের বাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পানি। বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় আরামের ঘুম হারা হয়ে পড়েছে পানি বন্দি মানুষের। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এলাকার লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে, গরু, ছাগল নিয়ে বিভিন্ন বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা নিচ্ছেন। বন্যা কবলিত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ গুলো দুর্বলের কারনে সেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে ভয় পাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কোন বাঁধ বন্যার পানির আগেই ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এদিকে, কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ, দ্বীপপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দীনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, তার এলাকার প্রতিটি গ্রামেই বন্যার পানি ঢোকে পড়েছে। লোকজন দিক বিদিক ছুটাছুটি করছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যার পানি প্রবেশ করবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে দ্বীপুর ইউনিয়নের জোলাপাড়া হাট এলাকার প্রধান রাস্তা ভেঙ্গে ব্যাপক গতি নিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্রবল পানির চাপে একই ইউনিয়নের নানসর ব্রীজ সংলগ্ন খালের একটি বাঁধে ৭-৮ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এলাকার ঘরবাড়ি রক্ষায় স্থানীয়রা সেই বাঁধটি কেটে দেয়। সেই সাথে কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের ঢেকরতলা ব্রীজের নিচে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে মাছ চাষ করছিল স্থানীয় লোকজন। ওই বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ চাষের জন্য দেয়া বাঁধটি ভেঙ্গে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পূর্বভাস পাওয়ার পর পরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যা বাগমারায় প্রবেশ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ। বন্যা কবলিত এলাকায় দ্রæত সময়ের মধ্যে দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেউ যেন ভেঙ্গে দিকে না পারে সে জন্য রাতে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন। কেউ যেন বাঁধটি না কাটে সে ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সর্তক করেন এবং রাতে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার বন্যার শুরু থেকে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন বন্যার কারনে যারা খাদ্য সংকটে থাকবেন তাদেরকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নদের বন্যায় প্লাবিত এলাকার জনগণের পাশে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, উজান থেকে বন্যার পানি এসে বাগমারার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছি। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বন্যার কারনে উপজেলাবাসী যেন সমস্যায় না পড়েন সে জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দকে সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসক সহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। বন্যার কারনে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন অবহেলার শিকার না সে কারনে জরুরী প্রয়োজনে সব রকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্যও বলা হয়েছে।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST