বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি দিঘির বাঁধ কেটে দিয়েছেন কয়েকটি গ্রামের কৃষক। নালা দখল করে ওইসব দিঘি খনন করায় এলাকায় জলবদ্ধতার কারনে কয়েকটি গ্রামের ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারনে গতকাল শনিবার সকালে কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক একত্রিত হয়ে ফসল রক্ষায় বাধ কেটে দিয়ে পানি বের করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি বাজার সংলগ্ন বিশাল খালের বিভিন্ন অংশ দখল করে
সেখানে বড় বড় দিঘী কেটে এলাকার কথিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বিগত ২/৩ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছিল। খালে পানি প্রবাহের মুখ বন্ধ করে অপরিকল্পিত ভাবে মাছ চাষ শুরু করায় মাড়িয়া ইউনিয়নের সূর্যপাড়া, পিদ্দপাড়া, কিসমত বিহানালী, অনন্তপাড়া, তুয়াবাড়ি, বৈলসিংহ, গোয়ালপাড়া ও কাঁঠালবাড়ি সহ প্রায় ১০/১২ টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে বর্ষা মৌসুমে চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এভাবে জলাবদ্ধতার কারণে ওইসব গ্রামের কৃষকরা ধান, আলু , পিয়াজ সহ কোন আবাদ চাষাবাদ করতে না
পারায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। তারা খালের বিভিন্ন অংশে অপরিকল্পিত দিঘী খনন মাধ্যমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সহ প্রশাসনের শরনাপন্ন হয়ে কোন সমাধান না পেয়ে গতকাল শনিবার সকাল থেকে মাইকিং করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন এসে কাঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়। পরে সংঘবদ্ধ লোকজন মিছিল সহকারে খালের বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশ করে দিঘীর পাড়গুলো গুড়িয়ে দেয়। পিদ্দপাড়া গ্রামের ইয়াদআলী, গোয়ালপাড়ার রহিদুল, ফেরদৌস সহ ১০/১২ জন
কৃষক জানান, পূর্বে এই খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে তাদের গ্রামের পানি নেমে যেত। তারা সময় মত বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করতে পারতেন। এখন খালটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে সেখানে একের পর এক দিঘী খনন করায় পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জলাবদ্ধতার কারনে তাদের চাষাবাদ প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়। অবশেষে তারা কয়েকটি গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে খালের দিঘীর পাড় কেটে পানি প্রবাহের পথ তৈরি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষকদের এই উদ্যোগে সফল করতে পরিষদের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন