বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রীর মা শিউলি বেগম। ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের রাকিব হোসেন (২০) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সে ছিল প্রেমিকের বন্ধু ও বেনীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ রাকিবকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের মামুনুর রশীদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মরিয়ম খাতুন (১৬) নরদাশ সৈয়দা ময়েজ উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে একই ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামের নুর মোহাম্মাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ইসলাম হোসেনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা তাদের এ বিষয়টি এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে টানা হেচড়া শুরু হয়। গত ২২ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় ইসলাম হোসেন তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ীতে যায়। তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর স্কুল ছাত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানার পর প্রেমিক ইসলাম হোসেনও বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের সদস্যরা জানার সাথে সাথে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হলে সে সুস্থ্য হয়ে উঠে।
নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবারের দাবী, প্রেমিক ইসলাম হোসেন ও তার সহযোগীরা তাকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের এমন দাবীকে অগ্রাধিকার দিয়ে পুলিশ নিহত ছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। হত্যার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতেই স্কুল ছাত্রীর মা শিউলি বেগম বাদী হয়ে ইসলাম হোসেন ও তার তিন বন্ধুকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মামলার আসামী রাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির জানান, স্কুল ছাত্রী মরিয়ম হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় রাবিক নামেরএক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ