1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাগমারায় প্রাচীণ কালের প্রাচীণ মুদ্রা উদ্ধার - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

বাগমারায় প্রাচীণ কালের প্রাচীণ মুদ্রা উদ্ধার

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার মোহম্মাদপুর গ্রামে পুরাতন বসতবাড়ি সংস্কার করার সময় প্রাচীণ কালের প্রাচীণ মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বে পুরা টাকা সরিয়ে সুকৌশলে অন্য টাকা দেখিয়ে মুল ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। তবে প্রাচীণ মুদ্রা উদ্ধার ও লোকানো ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনা স্থলে পুলিশ ১৯১০ সালের ১ পয়সার ৪টি রুপি উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন। প্রাচীন মুদ্রার বিষয় নিয়ে এলাকায় নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহম্মাদপুর গ্রামের মৃত লিয়ালা সোনাল এর প্রাচীণ বাড়ি তার ৪র্থ পুত্র মাওলানা রফিকুল ইসলাম সংস্কার করতে ৫জন শ্রমিক লাগায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবার সকাল থেকে সংস্কারের ৩য় দিনে শ্রমিক একই গ্রামের মোজাফ্ফর, আশরাফুুলসহ কয়েকজন শ্রমিক প্রাচীণ মুদ্রা পেয়ে ধস্তা-ধস্তি করে তা নিয়ে ভাগতে থাকে। এসময় গৃহবধূ টের পেয়ে বিষয়টি ফোনে তার স্বামীকে জানালে সে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়। ততক্ষনে শ্রমিকরা স্থান ত্যাগ করে।

গৃহস্বামী রফিকুল বিষযটি বুঝতে পেরে সাথে সাথে মোজাফ্ফর ও আশরাফুল নামে শ্রমিকের বাড়ি গিয়ে মুদ্রাগুলি তাদের দাবি করে বাড়ি ফিরে নেয়। তবে অন্য ৩ জন ধরাসার বাইরে চলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন জড় হতে থাকে। পরে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১৯১০ সালের ১ পয়সার ৪টি রুপি উদ্ধারের কথা স্বীকার করে।

এদিকে বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গ্রামের একাধিক বয়স্ক লোক জানান, গ্রামের মৃত লিয়ালা সোনাল নামে এক ধনবান লোক ছিলেন। গত ৩ যুগ আগে তার মৃত্যু হয়। কথিত আছে সে সময় লিয়ালা সোনার তার বেশ কিছু প্রাচীণ মুদ্রা মাটির নীচে রাখে এবং পরবর্তিতে আর খোঁজে না পেয়ে মাথা খারাপ হয়ে মারা যান। এই প্রাচীণ মুদ্রাই তারা পেয়েছে বলে দাবি করেন। শ্রমিক মোজাফ্ফর ও আশরাফুল জানান, প্রাচীণ বাড়ি ভাঙ্গার সময় তারা একটি মাটির পাতিল ভর্তি প্রাচীণ টাকা পায়। মালিককে না জানিয়ে

তারা পাঁচ জনে টাকা গুলি নিয়ে বাড়ি যায়। কিন্তু বাড়ি পৌঁছার পরপরই রফিকুল ধাপ্পা দিয়ে তাদের কাছ থেকে পুরা টাকা নিয়ে নেয়। পরে পুলিশের কাছে যে টাকা গুলো প্রমাণের জন্য দেখান হয়, সে গুলো ছাড়া আরও বড় ও স্বর্ণের আকারের টাকার কথা তারা দিয়েছে বলে তারা দাবি করে। এছাড়া তাদের সঙ্গের আরো ৩ জন টাকা নিয়ে ভেগেছে বলে তারা জানান। এদিকে উদ্ধারকৃত আরোও মুদ্রা ছিল কিনা বা এগুলি গুপ্ত ধন কি না এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকদের দাবি সোনাল একজন ধনদজ

মানুষ ছিল তার কাছে প্রচুর স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ছিল। এগুলি নিয়ে যা চলছে তা রহস্যজনক। এব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ বলেন, সন্ধ্যায় ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে ১৯১০ সালের ১ পয়সার ৪টি রুপি উদ্ধারের করেছে। এর বেশী তারা কোন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। এছাড়া ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায়, লিয়ালা সোনালের বড়

দু’ ছেলে আলহাজ মাষ্টার আব্দুর রহমান ও মাষ্টার আনিছুর রহমান তাদের বাড়িতে পুরানো ও হারানো টাকার ব্যাপারে স্বীকার করে। এছাড়া ওই বাড়িতে তারা আর থাকেন না তার ছোট ভাই পুরাতন বাড়ি দেখা শোনা করে বলে জানান তারা। অপর দিকে কাজের শ্রমিক অন্য পালাতক দু’জন শ্রমিকের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য বাড়ির মালিক মাওলানা রফিকুল ইসলাম চেষ্টায় রয়েছন বলে জানা গেছে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team