বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের তালঘরিয়া গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচ‚ড়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার হামির কুৎসা ইউনিয়নের তালঘরিয়া গ্রামের মুঞ্জুর রহমান এর সাথে একই গ্রামের প্রভাষক প্রতিপক্ষ আইয়ূব আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার দিবাগত রাতে মুঞ্জুর রহমান নামাজের জন্য তালঘরিয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ আইয়ূব আলী, সেতু, জাহিদ, আজাহার, সাইফুল, রইচ, মতি, পারভেজ, আইনাল, রাজু ও আ: রাজ্জাসহ বেশ কয়েকজন অবৈধভাবে সংগঠিত হয়ে মুঞ্জুর রহমানের উপরে হামলা চালায়। সে একা থাকায় দৌড় দিয়ে তার নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়। প্রতিপক্ষ আইয়ূব আলী ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে বাড়িতে এসে এলোপাথাড়িভাবে ঘরের দরজায় লাথি ও চিল্লাচিল্লি করে। এসময় মুঞ্জুর রহমানের মিসেস সামেনা বেগম ও তার ছোট ভাই মুনছুর আলীর মিসেস নাছিমা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকে আইয়ুব আলী ও তার সাথে থাকা লোকজনেরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করে। এসময় লোকজন ছুটে এলে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে মুঞ্জুর রহমানের ভাই মুনছুর রহমান তালঘরিয়া বাজারে অবস্থান করছিলেন। তাকে একা পেয়ে আইয়ূব আলী ও তার লোকজনেরা বেধড়ক পিটিয়ে তার ডান পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, আইয়ূব আলী ও তার লোকজনেরা প্রকাশ্যে তালঘরিয়া বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করে মুনছুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটাতে থাকলেও প্রাণভয়ে তাকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।
খবর২৪ঘন্টা/নই