ঢাকাশনিবার , ৯ নভেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগমারায় খাস পুকুর সমিতির নামে লিজ নিয়ে মোটা টাকায় আবার লীজ দেয়ার অভিযোগ

omor faruk
নভেম্বর ৯, ২০১৯ ৭:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় সরকারী খাস পুকুর নিয়ে পুকুর চুরি অবস্থা। প্রতি বছর সরকার হারাচ্চে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রতি বছর সরকারী খাস পুকুর কেবল মাত্র রেজিষ্ট্রশনকৃত বিভিন্ন প্রকার সমিতিকে টেন্ডারের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে সমিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে লিজ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু এক শ্রেণীর নাম সর্বস্ব সাইন বোর্ড নির্ভর সমবায় সমিতি গুলো লীজ গ্রহণের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিত্তশালী ব্যক্তিদের মাঝে টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গকরে সাবলীজ প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলেছে। সাবলীজ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনদের সাথে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ হামলা-মামলা বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর ঘটনা ঘটে চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ৯১৫টি খাস পুকুর সমিতিগুলোকে কম মূল্যে লীজ প্রদান করা হয়। উক্ত সমিতি গুলো সরকারীর সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে সরকারী খাস পুকুর লীজ গ্রহণ করে। পরে পুকুর গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সমিতির

সভাপতি/সম্পাদকরা সাবলীজ প্রদান করে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটালেও সমিতির অন্যন্য সদস্যরা জানেই না যে তাদের সমিতি সরকারী ভাবে পুকুর লীজ পেয়েছে। উপজেলা সমবায় অফিসে ঘুষের বিনিময়ে অডিট করে নেয়। এতে করে সমিতি অন্যন্য সদস্যাদের মাঝে ভোক্ষ ও হাতাশার সৃষ্টি হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী একটি সমিতি দুইটির বেশি পুকুর লীজ গ্রহণ করতে পারে না। উক্ত সমিতি গুলো টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গ করে স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বে-আইনী কর্মকান্ড। যদি কেহ টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গকারী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাবলীজ গ্রহণ কারী প্রভাব শালী ব্যক্তিরা বাদীর বিরুদ্ধে মামলা-হামলা বাড়িঘর ভাঙ্গচুর ভয়ভীতি প্রদান করে এলাকা ছাড়া করেন। মাড়িয়া ইউপি’র গোয়ালপাড়া গ্রামের চারটি খাস পুকুর সাবলীজ দেওয়ায় ঐ গ্রামের জনৈক মামুনুর রশিদ মামুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে একটি শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযোগের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৎক্ষনিক ভাবে টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গ

করার কারণে গণিপুর মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি পশ্চিমের দুটি পুকুরের লীজ বাতিলের আদেশ দেন। কিন্তু রহস্য জনক কারণে সে আদেশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এই প্রসঙ্গে বাদী মামুনুর রশিদ মামুনের সাথে যোগা যোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলা করার কারণে সমিতি পক্ষের লোকজনেরা আমার বাড়ি-ঘর ভাঙ্গচুর সহ জনৈক রেজাউল করিম নামে একজন ব্যক্তি বাগমারা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং বাগমারা থানা জি আর ৬৩/১৮, তারিখ ২৪/০৪/২০১৮। পরে মামলাটি তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। বর্তমানে তারা আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ প্রসঙ্গে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ তিনি বলেন সমিতি পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দিয়েছে। যে কারণে আদেশ বন্ধ রয়েছে। পুনরায় তদন্তের পর চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করা হবে।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।