বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী আবু হেনার গণসংযোগের সময় আ’লীগ ও বিএনপি’র কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫০ জনের উপর মামলা করা হয়েছে। আলীগের পক্ষে হামিরকুৎসা গ্রামের আহত আ’লীগ নেতা মন্জুর রহমানের পিতা লোকমান আলী বুধবার রাতে বাগমারা থানায় মামলাটি দায়ের করে। অপরদিকে বিএনপি’র নেতা সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু হেনা সংঘর্ষের ঘটনায় ১২০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত দু’শতাধিক আ’লীগ নেতাকর্মদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার প্রস্ততি নিয়েছেন। ওই মমলার বাদী বিএনপি’র নেতা সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু হেনা নিজেই বলে দলের মুখপাত্র সাবেক সংসদের ভাতিজা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা আকতারুজ্জামান জানিয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় বাগমারা আসনের বিএনপি’র সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু হেনা তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করতে গিয়ে আ’লীগ নেতাকর্মিদের সাথে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহত ঘটনায় আ’লীগ কর্মি মন্জুর রহমান (৪০) গুরুত্বর আহত হয়। আহতের ঘটনায় রাতেই আহতের পিতা লোকমান আলী বাগমারা থানায় ৬০ জনের নাম

উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিএনপি প্রার্থী সাবেক সাংসদ আবু হেনা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের গোয়ালকান্দি বাজারে গণসংযোগ করার সময় স্থানীয় আ’লীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আ’লীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিহত করেন এবং গণসংযোগ শেষ করে একই ভাবে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর বাজারে যায়। হামিরকুৎসা বাজারে গণসংযোগ ও পথসভা শেষ করে ফেরর সময় স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। আ’লীগ নেতাকর্মীদের বাঁধা উপেক্ষা করে যাবার সময় আ’লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে আ’লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। এই সময় আ’লীগ ও বিএনপি’র অন্ত ১০ জন আহত হয়। এই সংঘর্ষ ও আহতের ঘটনায় হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আহত আ’লীগ কর্মি মন্জুর পিতা লোকমান আলী বাদী হয়ে বাগমারা থানায় ওই রাতে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে হামিরকুৎসা গ্রামের বিএনপি’র সমর্থক আব্দুল

হান্নান (৩৮) ও শুকুর আলী (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে আ’লীগ ও বিএনপি’র সংঘর্ষের ঘটনায় হামিরকুৎসা ইউনিয়নের বিএনপি’র সেক্রেটারী বেলাল হোসেনসহ ্৮/১০ জন আহত ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি’র নেতা সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু হেনা ১২০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত দু’শতাধিক আ’লীগ নেতাকর্মদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার প্রস্ততি নিয়েছেন। ওই মমলার বাদী বিএনপি’র নেতা সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু হেনা নিজেই বলে দলের মুখপাত্র সাবেক সংসদের ভাতিজা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা আকতারুজ্জামান জানিয়েছেন। এদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া অভিযোগ করেন, তাদের দলের সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক সাংসদ আবু হেনাকে নিয়ে উপজেলার গোয়ালকান্দি

বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ করে হামিরকুৎসা হয়ে ফেরার পথে আ’লীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় হামিরকুৎসা ইউনিয়নের বিএনপি’র সেক্রেটারী বেলাল হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। অথচ তারাই অন্যায় ভাবে বিএনপি’র নেতাকর্মিদের আসামী করে মামলা করছে বলে তিনি দাবি করেন। অপর দিকে উপজেলা হামিরকুৎসা ইউনিয়ন আ’লীগের আয়ুব আলী বলেন, গোয়ালকান্দি বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ করে হামিরকুৎসা হয়ে ফেরার পথে বিএনপি নেতারী বিনা উস্কানীতে আ’লীগের নেতাকর্মীর উপর হামলা করে আমাদের নেতাকর্মিকে আহত করেছেন।

খবর ২৪ ঘন্টা/এমকে