বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শামীম মৃধা, টিপু মোল্লা, দুলাল হোসেন ও বেলি খতুন সহ বেশ কিছু সদস্য রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয় এবং পরে তা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। কিন্তু কমিটি গঠনের পর হতে কোন প্রকাশ মিটিং সভা ছাড়াই সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির স্বামী ও প্রধান শিক্ষকের স্বামী( আপন দুই ভাই) যোগসাজসে তারা কমিটির সকল সদস্যদের ব্যাতিরেখে নৈশ প্রহরী, পিয়ন ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরের বড় বড় গাছ কোন মিটিং ছাড়াই বিক্রি করে তা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে জমা না করে আত্মসাত করেন। একই ভাবে তারা প্রতিষ্ঠানের মাঠ সংলগ্ন মার্কেটের ভাড়া পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়া উত্তোলন করে তা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না করে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোন আয় ব্যায়ের হিসাবও তারা রাখেননি। এভাবে তারা পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যদের ব্যতিরেখে এবং কোন মিটিং সভা ছাড়াই প্রতিষ্ঠানেরর প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করে চলেছেন। অভিযোগকারী শামীম মৃধা বলেন, তাদের স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও দূর্নীতি এমন চরম পর্যায়ে পৌছেছে যে আমরা এর প্রতিবাদ করে কোন কাজ না হওয়ায় আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরনাপন্ন হয়েছি। তার মাধ্যমে এর সুরাহা না হলে আমরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকসানা খাতুন জানান, এ সবই ষড়যন্ত্রমূলক । সবই প্রতিহিংসা মূলক। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই কোন সত্যতা নাই। স্কুল কমিটির সদস্য শামীম মৃধার সাথে সভাপতির মনোপালিন্য হওয়ায় তিনিই এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই