বাগমারা প্রতিনিধি:
বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকামড়া বিলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে মাছচাষ না করে বিলটি উন্মক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এলাকার কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। কৃষকদের পক্ষে আবেদনটি করেছেন বানাইপুর তেগাছী গ্রামের আব্দুস সামাদ শেখের ছেলে বুলবুল রশিদ।আবেদন সূত্রে জানা যায়, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকামড়া বিলে বিল সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি গ্রামের দেড়হাজার কৃষক পরিবার আজীবন ধরে ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি এলাকার মৎস্যজীবী নামধারী ২০/২৫ জনের একটি প্রভাবশালী মহল কৌশলে এলাকার কয়েকজন কৃষককে হাত করে ওই বিলে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি নামিয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মাছচাষের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ জন্য বিলের এক পাশে একটি গভীর নলকূপও স্থাপন করা হয়েছে। তেগাছী গ্রামের কৃষক সামশুল আলম, আয়নুল হক, কছির উদ্দিন ও লায়েব আলীসহ এলাকার কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, এ বিলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মাছচাষ করা হলে বিলের সমস্ত জমিতে ফসলচাষ ব্যাহত হবে। তারা
আরো বলেন, বর্তমানে পানিকামড়া বিলের কোথায় মাছচাষ করার মতো পানি নাই। বিলের শুকনো মাঠে বিল সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা সরিষা, আলু, পটল, বেগুন, করলা, বরবটি, ঢেড়শ, রসুন, পেঁয়াজ, মরিজ, পেঁপে, ঝিংগা ও বোরোধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফসল চাষ করেছেন। সরজমিনে এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই বিলে তেগাছী গ্রামের কৃষক এসরাইল হোসেনের ৮ বিঘা, আবুল হোসেনের ৭ বিঘা, ময়েজ উদ্দিনের ৮ বিঘা, এনামুল হকের ১০বিঘা, বুলবুল রশিদের ৫বিঘা, জিয়াউর রহমানের ৭ বিঘা, ফয়েজ উদ্দিনের ৩ বিঘা এবং বাইগাছা গ্রামের গুরুমনি ও মোসলেম উদ্দিনের ২ বিঘা করে জমি রয়েছে। তারা বলেন, বিলে কৃত্রিমভাবে পানি নামিয়ে মাছচাষ করা হলে আমাদের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। ফলে আমরা জমিতে কোনো আবাদ ফসল চাষ করতে পারবো না। মৎস্যচাষী নামধারী
প্রভাবশালীদের হুমকির কারণে তারা বাঁধা দিতে পারেছন না বলেও অভিযোগ করেন।বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এলাকার কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য শুক্রবার বিকেলে ওই বিলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি নামিয়ে ওই বিলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।