ওমর ফারুক :
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শিক্ষানগরী রাজশাহীর ছেলে মো. সোহাগের। “আবার বৃষ্টি এলো” সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি। পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সত্যরঞ্জন। শনিবার সন্ধ্যায় খবর ২৪ ঘণ্টার প্রধান প্রতিবেদক ওমর ফারুক কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথা জানিয়েছেন নৃত্য শিল্পী ও অভিনেতা সোহাগ। ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার দরগাপড়া এলাকার মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। সোহাগ ওই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
সাক্ষাতকারে তিনি আরো জানান, ৫ বছর বয়সেই টিভিতে নাচ দেখে তার নাচের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। টিভিতে শামিম আরা নিপা ও শিবলি মোহাম্মদ এ দু’জনের নাচ দেখে আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আগ্রহের কারণে তিনি বাড়িতেই নাচ শেখার চেষ্টা করতেন। এরপর আরো ভালো নাচ শেখার জন্য ভর্তি হন ছন্দ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীতে। সেখানে তাকে নাচ শেখান শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান শাকিব। ওই শিল্পী গোষ্ঠীতে নাচ শেখার পর তিনি নগরীর কুমারপাড়ায় অবস্থিত স্পন্দন নৃত্যালয়ে নাচ শেখা শুরু করেন। ২০১৪ সালে স্পন্দন নৃত্যালয়ে তাকে নাচ শেখান নৃত্যালয়ের পরিচালক কাবেরী সরকার। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নৃত্য শেখা অবস্থায় মিউজিক ভিডিও করা শুরু করেন। এরপর ফটোসেশনে যোগ দেন। সোহাগ রাজশাহীর প্রথম বিউটিশিয়ান হিসেবে স্বীকৃতিও পান।
একে একে বিভিন্ন কাজের অফার পেতে থাকেন তিনি। সেই সময়েই বেসরকারী এটিএন বাংলা টেলিভিশনে “নুপুরের ছন্দে” অনুষ্ঠান করা শুরু করেন। সেই অনুষ্ঠানটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। তারপর থেকে বিভিন্ন চ্যানেলে অনুষ্ঠান করা শুরু করেন তিনি।
২০১৭ সালের শেষের দিকে “আবার বৃষ্টি এলো” বাংলা ছবিতে কাজ করার অফার পান। তাকে কাজের সুযোগ করে দেন অভিনেতা অভি। প্রথম ছবি হলেও নায়িকার ভাই হিসেবে পুরো ছবিতে অভিনয় করেছেন। সিনেমায় ছবির শেষ দৃশ্যের আগে তার মৃত্যু হয়। সিনেমাটি রাজশাহী কলেজ ও পুঠিয়া রাজবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে শুটিং করা হয়।
ছবিটি শীঘ্রই হলে মুক্তি পাবে। এ সিনেমার পরে “মিষ্টি মধুর প্রেম” নামের অপর একটি ছবিতে অভিনয় করবেন সোহাগ।
এতদুর উঠে আসার পেছনে কার কার সহযোহিতা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ জানান, মা-বাবার সহযোগিতা ছাড়া কাজ করা সম্ভব হতোনা। তাঁরা আমাকে সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন। মা-বাবার পরেই বন্ধু শাকিব ও স্পন্দন নৃত্যালয়ের পরিচালক কাবেরী সরকার তাকে নাচ শিখতে ব্যাপক সহায়তা করেছেন। এ জন্য তিনি মা-বাবাসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রথম ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে সোহাগ বলেন, বাংলা ছবিতে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ভেবেই ভাল লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। চলচ্চিত্র ও মিডিয়ার সাথে আমি আমরন থাকতে চাই। ভবিষ্যতে দর্শকদের আরো ভালো ভালো ছবি উপহার দিতে চাই। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি রাজশাহীর ছেলে। আমার জন্য সবাই দোআ করবেন। যাতে আমি চলচ্চিত্রে ভালো ভালো ছবি উপহার দিতে পারি। অভিনয়ের মাধ্যমেই যাতে সবাই আমাকে চেনে। প্রথম ছবি মুক্তি পেলে রাজশাহীর মানুষের সাথে “উপহার” সিনেমা হলে ছবিটি উপভোগ করতে চাই। সবশেষে তিনি খবর ২৪ ঘণ্টার মঙ্গল কামনা করেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে