নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা গ্রহন করে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের সামনে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পদ্ধতির সংস্কারকামী ফোরাম।
এ সময় ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক চৌধুরী হৃদয়। তিনি বলেন, শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা আদালতে গেলে তাদের কোনো সম্মান দেওয়া হয় না। বরং তাদের চেয়ে একজন মুহুরিকে আরো বেশি সম্মান দেওয়া হয়। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি নিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বাধ্য হবে বলে জানান। দাবিগুলো হলো-১। বিতর্কিত লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি চিরতরে বাতিল করে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা হিসেবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার নিয়ে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করা।
২। ফলাফলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের রিভিউয়ের সুযোগসহ যৌক্তিক ফি ধার্য করে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেলে পাস দিতে হবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নেগেটিভ মার্ক কাটা যাবে না।
৩। আইনজীবী তালিকাভুক্তি পদ্ধতির যেকোনো পরীক্ষায় একবার উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষানবিশকে আর কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না- এ নিয়ম কার্যকর করতে হবে।
৪। বার কাউন্সিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের কর্তৃত্ব প্রত্যাহার করতেই হবে।
৫। প্রতি বছর দুইবার আইনজীবী তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ যে, ৬০/৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রানের দাবি বৈষম্য বিরোধী লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা গ্রহন করে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্তি করতে হবে। তাহলে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা কালো টাকা পাহাড় গড়তে পারবে না বলে জানিছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
বিএ…