খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক:বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বিশ্বের দেশগুলোতে ঘটা সহিংসতা, দমন-পীড়ন ও নিষ্ঠুরতার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ঘটা নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে সরকারের সংসদীয় কাঠামোর কথা উল্লেখ থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ একাধারে তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু এই নির্বাচন কোন বিবেচনাতেই অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। একইসঙ্গে ভোটার ও বিরোধীদলকে
হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মত নানা অনিয়মের অভিযোগও পাওয়া গেছে। নির্বাচনের প্রচারণার সময় বিশ্বস্থ কিছু সূত্র থেকে হয়রানি, হুমকি, গ্রেপ্তার ও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে যা বিরোধী দল ও তার সমর্থকদের স্বাধীনভাবে প্রচারণা ও সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও সঠিক সময়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পায়নি। শুধুমাত্র ২২ টি সংস্থা আভ্যন্তরীণভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার ও কারাদ- দেয়ার কথাও বলা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক পরিচয়ও অনেক সময় গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে দেখানো হয়।
বিএনপি দাবি করেছে গত বছর তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে ৫ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীণ আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাকে অভিযুক্ত করার জন্য প্রমাণের অভাব ছিল।
তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেয়া হয় বলে জানান তারা। এরপর তাকে আরো একটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার রায়ের সময় প্রায় ১৭৮৬ বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির একজন মুখপাত্র হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছে, তাদের ও জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতায় বাধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে এ রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়, সাংবাদিকরা হয়রানির ভয়ে সেলফ-সেন্সরশিপের দিকে ঝুঁকছে। আইনে বলা আছে ঘৃনামূলক বক্তব্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে কিন্তু এ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে তা ¯পষ্ট করা হয়নি। যেসব গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করে থাকে তারা নানাভাবে সরকারের নেতিবাচক চাপের মুখে পরে।
এছাড়া সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়ার কথাও বলা হয় প্রতিবেদনে। রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া আন্দোলনের সময় ২৩ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছিলেন।
কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় রয়েছে নানা ব্যর্থতা। এরমধ্যে রয়েছে, হত্যা, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, সরকারকর্তৃক অযথা গ্রেপ্তার, আইনবহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ, বাক স্বাধীনতা হরণ, সমকামীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা।
বছরজুড়েই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সন্ত্রাসবাদ থামাতে নানা অভিযান পরিচালনা করেছে। কিছু কিছু অভিযানে সন্দেহভাজনরা নিহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই এ ধরনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে সন্দেহভাজনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার কথা বলে থাকে। যেখানে তার সতীর্থদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অভিযুক্ত নিহত হন। সরকার এই ঘটনাগুলোকে বন্দুকযুদ্ধ বা এনকাউন্টার বলে আখ্যায়িত করে থাকে।
গণমাধ্যমও প্রায়ই একই আঙ্গীকেই খবর প্রকাশ করে থাকে। মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে যে, বন্দুকযুদ্ধের অনেক ঘটনা আসলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
দেশের আভ্যন্তরীণ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্টস সোসাইটি জানিয়েছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০০ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। অধিকার নামে আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে মোট ৪১৫টি বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এর আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে প্রায় ২৩০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো ১৭০০০ জনকে। মানবাধিকার সংস্থা ও সুশীল সমাজ বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, এদের মধ্যে অনেকেই নিরপরাধ।
মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের দেয়া তথ্যমতে গুম ও অপহরণের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। এর বেশিরভাগের সঙ্গেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জড়িত। এসব ঘটনা রোধ ও তদন্তে সরকারি উদ্যোগ তেমন ছিল না। অধিকার জানিয়েছে গত বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮৩টি গুমের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের সংবিধান সকল প্রকার নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক আচরণ বা শাস্তিকে বে-আইনি ঘোষণা করেছে। তারপরেও গোয়েন্দা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাধারণত সন্ত্রাসী ও বিরোধী দলের কর্মীদের থেকে তথ্য পাওয়ার জন্য নির্যাতন করে থাকে। অধিকার জানিয়েছে, গত বছরের
প্রথম ১০ মাসে অন্তত ৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মারা গেছে। এ ছাড়া ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার ও আটকের বিষয়টি উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের কারাগারের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত আসামী রাখা হয়েছে, এগুলোতে সুযোগ
সুবিধার নিশ্চয়তা নেই ও শৌচাগার সুবিধারও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এ ধরনের পরিবেশে প্রায়ই মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে কয়েদিরা। এই পরিবেশের কারণে গত বছর মোট ৭৪ কয়েদি মারা গেছে।
১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ চাইলেই কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। প্রায়ই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের গ্রেপ্তারের পেছনে এ আইন দেখিয়ে থাকে। সংবিধান অনুযায়ী আটক কেউ তাকে গ্রেপ্তারের কারণের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু সরকার সাধারণত এ ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করে না।
সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমগুলো সরকারকে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী নয় এমনকি সুশীল সমাজ ও বিরোধী নেতাদের জোরপূর্বক গুমের দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার ও কারাদ- দেয়ার দাবিও করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক পরিচয়ও অনেক সময় গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে দেখানো হয়। বিএনপি দাবি করেছে গত বছর তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বছরের
৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাকে অভিযুক্ত করার জন্য প্রমাণের অভাব ছিল। তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেয়া হয় বলে জানান তারা।
এরপর তাকে আরো একটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, খালেদা জিয়ার রায়ের সময় প্রায় ১৭৮৬ বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একজন মুখপাত্র হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছে, তাদের ও জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতায় বাধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়, সাংবাদিকরা হয়রানির ভয়ে সেল-সেন্সরশীপের দিকে ঝুঁকছে। আইনে বলা আছে ঘৃণামূলক বক্তব্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে কিন্তু এ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে তা ¯পষ্ট করা হয়নি। যেসব গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করে থাকে তারা নানা ভাবে সরকারের নেতিবাচক চাপের মুখে পরে।
এছাড়া সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়ার কথাও বলা হয় প্রতিবেদনে। রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া আন্দোলনের সময় ২৩ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা এখনো দুর্নীতি। ২০১৮ সালে টিআইবির জরিপ থেকে জানা যায়, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোই বাংলাদেশের সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ সংস্থা।
যৌতুকের বলি ৩৫ নারী, বাল্যবিবাহ নিয়ে পাল্টাপাল্টি
মার্কিন রিপোর্টের সেকশন সিক্স এ বঞ্চনা, সামাজিক অপব্যাহার এবং মানবপাচারের বিষয়টি ওঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে এসব ক্ষেত্রে নারীরাই সবচেয়ে বেশী ভিকটিম হচ্ছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে শেরপুর জেলার একটি ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়Ñ ধর্ষণ মামলায় আটক হওয়ার ৪ ঘন্টার মাথায় পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে গেছেন অভিযুক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আল-হেলাল। তিনি ওই অভিযুক্ত থেকে মুক্তি পেতে ভিকটিমের পরিবারকে ১৮ হাজার টাকা যা ২১১ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দিতে চেয়েছিলেন। ভিকটিম থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি পর্যন্ত দায়ের করতে পারেনি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসির অসযোগিতার কারণে। তিনি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে অবশ্য আদালতে অভিযোগ দায়ের হয় এবং হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিম তার ঘটনাটিই প্রকাশ করেন না পরবর্তী হয়রানী এবং ঝামেলার ভয়ে।
তাছাড়া সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং আইনী প্রক্রিয়ায় প্রবেশাধিকারের বাধা-বিপত্তি তো আছেই। তবে আশার দিক হচ্ছে, ২০১৫ সালের একটি মামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ধর্ষণ মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশ এবং অন্যদের ১৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশের যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোর ভয়াবহতা মার্কিন রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। বলা হয়েছে সামাজিক ওই ব্যাধিকে ‘হার্মফুল ট্রাডিশনাল প্র্যাকটিস’
হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত বছরে ৩৫জন নারীকে যৌতুকের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। তাছাড়া গুরুতর আহত হওয়ার ৪১টি কেস রেকর্ড হয়েছে। যৌন নির্যাতনের বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছেÑ বাংলাদেশে এ বিষয়ে কঠোর আইন ও আদালদের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আইনের প্রায়োগিক দুর্বলতার কারণে ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। কিছু ঘটনা এমনও আছে যে, এটির কারণে কিশোরীরা স্কুলে এবং কাজে যাওয়া ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
নারীদের পদে পদে বঞ্চনার অনেক ঘটনাও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। শিশুদের জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, তাদের নির্যাতন এবং অনুপযুক্ত কাজে ব্যবহারের (অপব্যবহার) বিভিন্ন ঘটনার বর্ননা যা গত বছরের রেকর্ডভুক্ত হয়েছ তা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের আইন এবং আদালতের নির্দেশনা এবং সরকারের তৎপতার বিষয়গুলো সেখানে স্থান পেয়েছে। বাল্য বিবাহ এবং জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনাগুলোও রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। সেখানে ইউনিসেফের মূল্যায়ন এবং সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের পাল্টাপাল্টি অবস্থানও তুলে ধরা হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন