1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আশাবাদী আইএমএফ, তবে... - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১২ জানয়ারী ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আশাবাদী আইএমএফ, তবে…

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: অর্থনীতির ৪৭ বছরের ক্যারিয়ারে এখন সেরা সময় পার করছে বাংলাদেশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।

সরকার বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রাথমিক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের রেকর্ড গড়া প্রবৃদ্ধিকেও অনেকদূর পেছনে ফেলেছে। গত অর্থবছরের (২০১৬-১৭) চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। এ ব্যাপারে সংস্থাটি আশাবাদী বলেও জানিয়েছে।
কিন্তু বছর শেষে এটা অর্জন করতে হলেও একটা ‘তবে’ আছে।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বসন্তকালীন বার্ষিক সম্মেলনের এক আলোচনায় আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন ক্যাঙ বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়েও বক্তব্য দেন।
আলোচনায় তাকে প্রশ্ন করা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশের মধ্য দ্বিতীয়। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যেও দেশটির অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফের অবস্থান কী?

কেন ক্যাঙ বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে যে প্রাক্কলন করা হয়েছে, তা অনুকূলে আছে। বেসরকারি খাতে ভোগ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হওয়ার কারণে ২০১৭ সালের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, চলতি হিসাবের ঘাটতি ২ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। সুতরাং বেশ কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।
তার মতে, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করতে হবে, সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করা ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মুনাফা অর্জনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার মতো কাঠামোগত সংস্কারের ওপরে এখন গুরুত্ব দিতে হবে।

ক্যাঙ বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোগত খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানে কর খাতের সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন।
এদিকে সম্প্রতি এডিবি ও বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে। এডিবি বলছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

এসব অর্জনের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের রপ্তানি খাতকে আরও বেগবান করতে কেবল পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে অন্যান্য পণ্যের দিকেও নজর দেয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচন কিংবা অর্থনৈতিক বৈষ্যমের প্রশ্নে এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

তবে বিশ্বব্যাংকের এই প্রাক্কলন মানেনি সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংককে মে মাস পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। তারা এ সময়ের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে আলোচনা করবে। এরপর নিজেদের রিপোর্ট আবার রিভিউ করবে।

বিশ্বব্যাংককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জিডিপি নিয়ে আমরা যে ফিগার দিয়েছি (৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ) সেটাই সঠিক। চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি এর চেয়েও বেশি হবে। আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর (বিবিএস) সহায়তায় এ ফিগার দিয়েছি। এখানে ৯ মাসের তথ্য রয়েছে। আর বিশ্বব্যাংক দিয়েছে ৫ মাসের তথ্য দিয়ে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST