খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: বরিশালে অস্ত্র, গুলি, সার্কিট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিডি এবং জিহাদি বইসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৮। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরিশাল নগরীর দক্ষিণ সাগরদী দরগাহ বাড়ি রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাবের বিশেষ দল।
শুক্রবার র্যাব-৮ প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের বিশেষ দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ সাগরদী দরগাহ বাড়ি রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ১৫টি ইলেক্ট্রনিক সার্কিট, ১টি তাতাল, ২টি হেক্সো ব্লেড, ১৬টি জিহাদি বই, ১টি সিডি, ১টি টেবিল ঘড়ি, ১টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
আটক আবদুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহ বরগুনা জেলার সদর উপজেলার মনসাতলী গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানায়, সে বরগুনার রফাচন্ডী মাদ্রাসা থেকে ২০০৬ সালে দাখিল পাস করে। এরপর ইলেক্ট্রনিক্স কাজ শেখার জন্য বরগুনা সদররের ‘বরগুনা টেলিকম’ নামে একটি দোকানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। সেখানে জসিম উদ্দিন রহমানীর বক্তব্য এবং ওয়াজ শুনে জিহাদে উদ্ধুদ্ধ হয় সে। ওই দোকানে থাকাবস্থায় তার সাথে আতিকুর রহমান ওরফে বাবু ওরফে শাওন, নাজমুল ওরফে উকিল ওরফে রেশান, তরিকুল ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুল সাকিব, আলামিন ওরফে হাসান ওরফে আলমগীর, আল আমিন ওরফে রাজীব ওরফে আজিজুলসহ আরও কয়েকজন সমমনা লোকের সাথে মিরাজের পরিচয় হয় এবকং পরবর্তীতে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ২০১২ সালে জসিম উদ্দিন রহমানীর সাথে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মিরাজ।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে মিরাজ তার সমমনা বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন স্থানে গোপনে বৈঠক করে এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। মিরাজ তার মুঠোফোনে একাধিক সিমের মাধ্যমে সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করতো। তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে মিরাজ মুঠোফোন ব্যবহার করতো না।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিরাজকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাব-৮’র কমান্ডিং অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই