বরগুনায় শিকল বেঁধে এক মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতন করেছে শিক্ষক। নির্যাতিত শিক্ষার্থীর নাম আবদুল আলিম (১২)। তার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন। বাড়ি হেউলিবুনিয়া গ্রামে।
গতকাল (৫ নভেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী হেউ
মাদরাসা থেকে বাড়িতে যাবার অপরাধে মারুফ হোসেন নামে একজন শিক্ষক এক শিশুকে শিকল বেঁধে নির্যাতন করে। শিশুটির কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। ডানহাত নাড়াতে পারছে না। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া পায়ের তলায় পিস্ট করে থেতলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ওই মাদরাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত হাফেজ জাবের হোসেন শিশুকে নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন মারুফ হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়েছেন।
শিশুর পিতা ফরিদ উদ্দিন জানান,খবর পাওয়ার পরে বাচ্চাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন,শিশুর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ছাত্রদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে প্রত্যাহার করা হবে।
বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় মামলা হয়েছে।
বিএ/