নাইজারে একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় একজন মেয়রসহ অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার মালির সীমান্তের কাছে টিলাবেরির পশ্চিমাঞ্চলে শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে বানিবাংউয়ের মেয়রের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
বৃহস্পতিবার প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাচি আলহাদা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘হামলা থেকে ১৫ জন বেঁচে গেছেন এবং এতে একটি তল্লাশি অভিযান চলছে।’
বৃহস্পতিবার দেশটির স্থানীয় একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হামলাটি হয়েছে আদাব-দাব গ্রামে। মোটরসাইকেলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর মোটরসাইকেলে করেই হামলা চালিয়েছিল ‘ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সাহারা (আইএসজিএস) এর ভারী সশস্ত্র সদস্যরা।’
অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের এই হামলার লক্ষ্য ছিল ভিজিল্যান্স কমিটিস নামে স্থানীয় একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলার পর বন্দুকধারীরা তাদের সদস্যদের মৃতদেহ নিয়ে মালির দিকে চলে যায়।
নাইজারের পশ্চিমের তিলাবেরি অঞ্চলে এর আগের হামলাগুলোর জন্য স্থানীয় কর্মকর্তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিল। গত জানুয়ারিতে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সেখানকার অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান।
চলতি বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় ৫৩০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি।
সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ২ জানুয়ারি তিলাবেরিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১০০ জন নিহত হয়েছিলেন। এর আগে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় ২০২০ সালে ৭০ জন এবং ২০১৯ সালে ৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন।
বিএ/