1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বগুড়ায় ডিবি পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা, এএসআই গ্রেফতার - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২০ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় ডিবি পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা, এএসআই গ্রেফতার

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ মারচ, ২০২০

বগুড়া প্রতিনিধি: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মহড়াপাড়া গ্রামে জনগণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ হয়। এর প্রেক্ষিতে দিনাজপুর থেকে আসা পুলিশের একটি টিম সোমবার (২ মার্চ) রাতে সদর থানা চত্বর থেকে পুলিশের সহযোগীতায় বগুড়ার চতুর্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এএসআই শাহাদত হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করলেও দিনাজপুর পুলিশ টিমের ওপর সদর থানা পুলিশদের হামলা ও কাউকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা পুলিশের সূত্র জানায়, এএসআই শাহাদত হোসেন সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ায় স¤প্রতি তাকে বগুড়ার চতুর্থ এপিবিএনে বদলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। এরপরও শাহাদত নিজেকে বদলাতে পারেননি। তিনি গত ১ মার্চ রবিবার সন্ধ্যার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মহড়াপাড়া গ্রামে যান। সাদা পোশাকে থাকা এএসআই শাহাদত নিজেকে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজনকে আটক করে মাইক্রোবাসে তোলেন। পরে টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়েও দেন। আটকদের মধ্যে আরমান নামে একজন নগদ টাকা দিতে ব্যর্থ হন। তিনি পুলিশদের দেওয়া একটি নম্বরে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে মুক্তি পান। রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে আরমানের স্ত্রী তারামনি বেগম হাকিমপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ বিষয়ে হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আখিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ পরিচয়ধারীদের দেওয়া ওই বিকাশ নম্বরটি বগুড়া সদর থানা সংলগ্ন মার্কেটের বিকাশ এজেন্ট সাজুর। তিনি বগুড়া পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ২ মার্চ সোমবার রাতে ফোর্স নিয়ে বিকাশ এজেন্ট সাজুর কাছে আসেন। সেখানে আসার পর জানতে পারেন, ওইদিন দুপুরে এপিবিএনের এএসআই শাহাদত হোসেন স্বাক্ষর করে ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। এরপর দিনাজপুর পুলিশ দল বগুড়া সদর থানা চত্বরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর রুমে বসেন। রাত ১০টার দিকে তারা কৌশলে ফোনে শাহাদতকে সেখানে ডেকে আনেন।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে এএসআই শাহাদত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপর তিনি রুম থেকে বের হয়ে দৌড় দেন। তখন পুলিশের দিনাজপুর টিম তাকে থানার মধ্যেই আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় সদর থানার এসআই নুরে আলম সাবেক সহকর্মী শাহাদতকে চিনতে পেরে এগিয়ে আসেন। তিনি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য দিনাজপুর টিমের কাছ থেকে শাহাদতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পরও ভুয়া পুলিশ বলে চিৎকার করতে করতে সিনিয়র এএসপি আখিউল ইসলাম, তার বডিগার্ড হাকিমপুর থানার এএসআই রাজুসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন নুরে আলমসহ কয়েকজন। পরে বগুড়া সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাতন চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে দিনাজপুর পুলিশ টিম শাহাদতকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
৩ মার্চ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আখিউল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর গ্রেফতার এএসআই শাহাদতের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ ব্যাপারে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, এএসআই শাহাদতকে গ্রেফতারের সময় সদর থানার কেউ দিনাজপুর টিমের কাউকে লাঞ্ছিত বা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST