বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় চার পুলিশ সদস্য এবং এক ব্যবসায়ী পরিবারের সাতজনসহ ১১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ব্যবসায়ী পরিবারের যে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সম্প্রতি ঢাকা থেকে বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানান।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, মঙ্গলবার বগুড়া জেলার ১৭৬ জনের নমুনা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য। তাদের মধ্যে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার এবং বাকি তিনজন কনস্টেবল। আক্রান্ত এ পুলিশ সদস্যদের কারোরই এর মাঝে বগুড়ার বাইরে যাওয়ার কোন ইতিহাস নেই। গত ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া শহরের জলেশ্বরীতলার ব্যবসায়ী পরিবারের যে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং চারজন নারী। গত ৮ মে তারা বগুড়ায় ফেরেন। এরপর গত ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, করোনায় আক্রান্ত ঢাকাফেরত ওই সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা সৈয়দ আহম্মদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নজবুল হকের পরিবারের সদস্য। গত ৮ মে নজবুল হক কুমির্টোলা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে তারা ঢাকা গিয়েছিলেন। পরদিন তারা ঢাকা থেকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় তাদের নিজ বাড়িতে ফিরেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ইতোপূর্বে পুলিশ লাইনের যে কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তার সাথে একই রুমে থাকার কারণে নতুন করে এই চারজন আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পুলিশ লাইনের কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।
নতুন করে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ জনে। তবে এই ৫২ জনের মধ্যে নয়জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই