বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গৃহবধূর ঝুলন্ত এবং নিখোঁজ বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ধুনট পৌর এলাকার অফিসারপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ তানিয়া আকতার (৩২) এবং ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বগা খোকশাবাড়ি গ্রামের এক পুকুর থেকে যুবতী তাপসি খাতুনের (২৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার আকরামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান তার স্ত্রী তানিয়া (৩২) ও মেয়ে মুক্তি খাতুনকে নিয়ে ধুনট পৌর এলাকার অফিসারপাড়ার ফরিদ উদ্দিনের বাসায় প্রায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকেন। গৃহকর্তা মিজানুর রহমান স্ত্রী ও সন্তানকে অফিসারপাড়ার ভাড়া বাসায় রেখে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন।
শনিবার সকালে ভাড়া বাসার এক কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তানিয়ার লাশ দেখতে পান স্বজনরা। তবে ঘটনার সময় তার মেয়ে মুক্তা খাতুন পার্শ্ববতী চালাপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে ছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দুপুরে তানিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি) হয়েছে।
অন্যদিকে, ধুনট উপজেলার বগাখোকশাবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী মেয়ে তাপসি খাতুন (২৮) শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে ধুনট ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে তাপসির মরদেহ উদ্ধার করে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাপসি জন্মগতভাবে বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী ছিল। পারিবারের লোকজন তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করতো। শুক্রবার স্বজনরা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তাপসি একাই গোসল করতে বাড়ির পাশে পুকুরের নামলে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গৃহবধূ তানিয়া ও বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী তাপসি খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ