বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে একসঙ্গে বিষপানে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেবার পথে মা ও রাতে হাসপাতালে ছেলের মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার বিকালে তারা উপজেলার আমষট্ট গ্রামের বাড়ির কাছে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করেন।
নিহতরা হলেন- দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমষট্ট গ্রামের নিতাই চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী স্বরস্বতী বর্মণ (৪৭) ও তাদের ছেলে ঢাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র রবীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ (২২)।
এলাকাবাসীরা জানান, দরিদ্র কৃষক নিতাই চন্দ্র বর্মণ মিতব্যয়ী। এ নিয়ে স্ত্রী স্বরস্বতীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছেলে রবীন্দ্র বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া ও সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে নিতাই চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে ছেলে রবীন্দ্রের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন মা স্বরস্বতী ছেলের পক্ষ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেন।
বুধবার দুপুরেও এ নিয়ে নিতাইয়ের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। বেলা ১টার দিকে মা ও ছেলে মনের দুঃখে বাড়ির কাছে জঙ্গলে গিয়ে একসঙ্গে বিষপান করেন। এরপর দুজনই ছটফট করতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে মা স্বরস্বতী বর্মণ মারা যান। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এরপর ছেলে রবীন্দ্র বর্মণকে হাসপাতালে ভর্তির পর রাতে তার মৃত্যু হয়।
দুপচাঁচিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, পারিবারিক কলহে মা ও ছেলে একসঙ্গে বিষপান করেন। মা হাসপাতালে নেবার পথে ও ছেলে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিতাই চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ডলি রানী বর্মণ দুপচাঁচিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। খবর২৪ঘন্টা/এবি