বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ট্রাক থেকে নামিয়ে দেয়া সেই শাহ আলমকে আলাদা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দফতর থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সতর্কতা হিসেবে এখানে চিকিৎসাধীন ও মৃত ৩ জনের বাড়িসহ মোট ৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। অধিক নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন আইসোলেশন ইউনিটে মৃত ওই শিশু, চিকিৎসাধীন ধুনট ও কাহালুরের দুই রোগীর বাড়িসহ মোট সাতটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে। ওইসব বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২৯ মার্চ ঢাকা থেকে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন রংপুরের ধাপ মর্ডান মোড় এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে দিনমজুর শাহ আলম। পথে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানে ট্রাক থেকে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে ২৯ মার্চ বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে কার্যক্রম শুরুর পর কাহালুর শাকিল, ধুনটের
আবদুল হান্নান, গাবতলীর শিশু সিয়াম ও নারুলির এক নারী ভর্তি হন। পরে সিয়াম চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মারা
যায়। আইসোলেশন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ওই ৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতালের ল্যাবে পাঠান।
ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো রিপোর্ট আসেনি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের
অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দফতরের মৌখিক নির্দেশে চিকিৎসাধীন শাহ আলমকে আলাদা রাখতে বলা হয়েছে। তাই
তাকে আইসোলেশনে ইউনিটের আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।