শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: প্রতিমাসে ৫শ টাকা বয়স্ক ভাতা। তাও কয়েকমাস পরে মেলে কাংখিত ভাতা। এই ভাতা পান ৬০ বছর উর্ধ বয়সী নারী ও ৬৫ বছর উর্ধ বয়সী বয়স্ক পুরুষেরা। কিন্তু সেই ভাতা নেবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা গাছতলায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভাতাভোগী বয়স্কদের।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলা পরিষদের প্রাণি সম্পদ অফিসের সামনে এই চিত্র দেখা গেছে।সেখানে শেরপুর পৌরসভার কয়েকশ বয়স্ক ভাতা ভোগী নারী পুরুষকে ভাতার জন্য অপেক্ষা করতে গাছতলায় ঘাসের উপর বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।খবর পেয়ে কেউ এসেছেন সকাল ৭টায় কেউ বা সকাল ৮টায়।
ভাতাভোগীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাংক থেকে লোক এসে আমাদের কার্ড নিয়ে গেছে। এখন তারা টাকা নিয়ে আসবে এই অপোয় আমরা বসে আছি।বয়স্কভাতা ভোগী আব্দুল হান্নান, গৌরচন্দ্র, আব্দুস সামাদ প্রমুখ জানান, মাসে ৫শ টাকা ভাতা বর্তমান বাজারে অতি সামান্য। তাও আমাদের ভাতা সময়মত দেয়া হয় না। যেদিন ভাতা দেয়া হয় সেদিন এভাবে খোলা আকাশের নিচে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।একজন জানান, আজ ৬ মাসের ভাতা হিসাবে তিন হাজার টাকা পাব।
এভাবে গাছতলায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপোর বিড়ম্বনা ছাড়াও রয়েছে নিরাপত্তার শংকা। তারা জানান, কিছুদিন পুর্বে এক ভাতা ভোগীর নিকট থেকে ভাতার টাকা, কার্ড সহ ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বখাটেরা।
অথচ ব্যাংক কর্তৃপ কিংবা সংশ্লিষ্টরা বয়স্কদের ভাতা প্রদানে দুর্ভোগ কমানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নজর দেন না বলে তাদের অভিযোগ।এ ব্যাপারে পৌরসভার সংরতি মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা লিলি জানান, ব্যাংকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সাধারণত ভাতা ভোগীদের মাঝে বেলা ৩টার দিকে ভাতার টাকা ও কার্ড বিতরণ করা হয়। এজন্য তাদের একটু বাড়তি সময় ধৈর্য্য ধরতেই হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন