চলতি বছরের ৩০ জুন নগরীর ডিঙ্গাডোবা মোড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মারামারিতে ২ জন নিহত হয়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও ভাতিজা হত্যা মামলার বাদি হওয়ায় শফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন বলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যাডে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেছেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লেখা একটি বক্তব্যে এসব কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার ওয়ার্ডের ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজরা মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার বিরোধিতা শুরু করে। যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা সে দলের লোক হয়ে যায়। দাশপুকুর মোড়ের পশ্চিমে যে জমি নিয়ে সংঘাত সেই পুরো জায়গা চক্রটি এক ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য এক হয় ঠিকাদারের সাথে। এই চক্রটি গত একমাস পূর্বে তার বড় ভাই মাহাতাব আলীর ছেলে সেলিমের ক্রয়সূত্রে দখলকৃত জমিটি দখল নেওয়ার জন্য পূরোনো একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সেলিমকে গ্রেফতার করায়।
পরে বুল ড্রেজার দিয়ে সেলিমের অধীনে থাকা সিটি বাইপাশ সংলগ্ন দোকান ঘর
রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দেয়। সেলিমের বাবা মাহাতাব আলী ও তাঁর স্বজনেরা সকালে সেই জায়গায় বেড়া দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তারা তার আরেক বড় ভাই গিয়াস উদ্দীনের বড় ছেলে জয়নাল আবেদিন (৪৫) কে হত্যা করে ও বেশ কয়েকজনকে আহত করে।
মারামারির খবর পেয়ে তিনি পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন তার ভাতিজার রক্তাক্ত দেহ ও স্ত্রী সালমা বেগমের রক্তাক্ত শরীর, আরেক বড় ভাই জামাল রক্তাক্ত অবস্থায় ও ভাই মাহাতাব আলীকে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ভাতিজা জয়নাল আবেদিনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরের তিনি বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন। জয়নাল আবেদিন হত্যা মামলার বাদী হওয়ার কারণে তাকেও হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান তিনি। প্রতিপক্ষের লোকজনের বক্তব্য না পাওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হলোনা।
এস/আর