বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় এই মাধ্যমটির ১৫০ কোটি গ্রাহকের তথ্য বিক্রি হয়ে গেছে। গ্রাহকদের এসব তথ্য কিনেছে একটি হ্যাকার ফোরাম। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রোমানিয়াভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘প্রাইভেসি অ্যাফেয়ার্স’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তবে এই তথ্য বিক্রির সঙ্গে সোমবার (৪ অক্টোবর) ফেসবুক বিপর্যয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনা ঘটেছে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। তবে ফেসবুকের সমস্যার সময় ব্যবহারকারীদের ডাটা চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘ব্যাকবোন রাউটারের কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে গত সোমবার রাতে বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের সেবা। ত্রুটি কাটিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সেবা চালু করতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা।’
এদিকে প্রাইভেসি অ্যাফেয়ার্স তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ওয়েব স্ক্র্যাপারস’নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য চুরিতে নিয়োজিত একটি গ্রুপের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে, ফেসবুকের প্রায় ১৫০ কোটি গ্রাহকের তথ্য একটি হ্যাকার ফোরামের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ওয়েব স্ক্র্যাপাররা কিছু প্রমাণ সংযুক্ত করে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই তথ্য বিক্রি করেছে। ক্রেতা হ্যাকার ফোরাম প্রতি এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্যের জন্য পাঁচ হাজার ডলার মূল্য পরিশোধ করেছে। এতে ফেসবুকের দেড়শ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য কিনতে তাদের গুণতে হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
ওয়েব স্ক্র্যাপারস ও হ্যাকারদের ই-মেইল বার্তার কিছু স্ক্রিনশটও প্রকাশ করা হয়েছে প্রাইভেসি অ্যাফেয়ার্সের ওই প্রতিবেদনে। তবে বিপুল পরিমাণ এই তথ্য কোন হ্যাকার গ্রুপ কিনে নিয়েছে, সেটা প্রকাশ করেনি প্রাইভেসি অ্যাফেয়ার্স।
সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে একটি কমন সুইচ প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য রাউটারে নতুন কনফিগারেশনটি চলছিল। মূলত ফেসবুক ও এর অন্তর্ভুক্ত মাধ্যমগুলোর মাঝে সহজে ডাটা আদান-প্রদান করার জন্যই এই প্রক্রিয়াটি চলছিল।
বিএ/